নেত্রকোনার কেন্দুয়ার একটি হাওর থেকে ভাসমান অবস্থায় বস্তাবন্দি রাসেল মিয়া (২৫) নামের এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার কান্দিউড়া ইউনিয়নের জালালপুর গ্রামের একটি হাওর থেকে বস্তা উদ্ধার করে খুলে লাশ বের করে। পরে শনাক্তের পর ময়না তদন্তের জন্য নেত্রকোনা জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় লোকজন ভাসমান অবস্থায় একটি বস্তা দেখে সন্দেহ হলে কেন্দুয়া থানায় খবর দেয়। পরে পুলিশ গিয়ে ইঞ্জিন চালিত নৌকা নিয়ে বস্তা উদ্ধার করে লাশটি দেখতে পায়। এদিকে কেন্দুয়া হাওরে লাশ উদ্ধারের খবরে আশপাশের এলাকার মানুষ ছুটে যায়।
সেখানে গত ৩০ জুন নিখোঁজ হওয়া মদন উপলোর কুলিহাটি পশ্চিমপাড়া আরগিলা গ্রামের আবুল হোসেনের অচোরিকশা চালক ছেলে রাসেল মিয়ার পরিবার স্বজনরা যায়। তারা লাশ শনাক্ত করে জানায়, রাসেলকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে অটোরিকশটি নিয়ে গেছে।
রাসেলের পরিবার আরও জানায়, গত সোমবার (৩০ জুন) দুপুর থেকে বের হওয়ার পর রাসেল নিখোঁজ ছিলেন। সঙ্গে তার অটোরিকশা ছিল। সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজাখুঁজি করে ব্যর্থ হয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে মদন থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়। রাসেলের বাবা আবুল হোসেন কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, “আমার ছেলেকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। তার অটোরিকশাটিও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। আমরা এই হত্যাকান্ডের বিচার চাই।”
এ ব্যাপারে কেন্দুয়া থানার ওসি মো. মিজানুর রহমান বলেন, “মরদেহটি পঁচে গলে গেছে। সেইসাথে বস্তায় ভরা অবস্থায় ছিল। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, হত্যার পর লাশ গুম করার উদ্দেশ্যে হাওরে ফেলে দেওয়া হয়। নিহত যুবকের পরিবার লাশটি শনাক্ত করেছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোনা মর্গে পাঠানো হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এএম