ভারত থেকে আসা ঢলের পানি ও অবিরাম বৃষ্টিপাতের ফলে কুড়িগ্রামের সবকটি নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। বিশেষ করে উজানের অংশে তিস্তা নদীর পানি অনেক বেড়ে চর ও দ্বীপচরের নিম্নাঞ্চলসমূহ তলিয়ে গেছে। তলিয়ে গেছে আবাদী জমি। ধান, পাট, বাদাম, সবজি ও নানা ফসল তলিয়ে গিয়ে কৃষকরা পড়েছেন দুশ্চিন্তায়।
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের দেয়া তথ্যমতে, এ সময় পানির সমতল কয়েকটি পয়েন্টে বিপৎসীমা অতিক্রম করে তিস্তা নদীর অববাহিকার পাঁচ জেলার নদীসংলগ্ন নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে বলে শঙ্কা করা হয়েছে।
এদিকে, শুক্রবার দিনভর থেমে থেমে বৃষ্টিপাতের ফলে শহর ও গ্রামে বিভিন্ন এলাকায় পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এতে তিস্তা নদীর পানি আরো বেড়ে বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। জেলার এ নদী সংলগ্ন নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে গেছে। আগামী পরবর্তী চার দিন নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকতে পারে বলে পাউবো জানিয়েছে। তবে এ নদীর প্রবাহ বিপৎসীমা অতিক্রম করার সম্ভাবনা খুব কম বলে জানানো হয়েছে।
কুড়িগ্রামের পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান জানান, আমরা যদিও ইতোমধ্যেই বন্যার পূর্বাভাস পেয়েছি। কিন্তু এখনও বিপৎসীমার অনেক নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। তাছাড়া তিস্তা নদীর তীরবর্তী কয়েকটি এলাকায় নদী ভাঙন ঝুঁকি রোধে আমাদের কাজ চলমান রয়েছে। রাজারহাটের তিস্তা নদী তীরবর্তী ডাঙড়া হাট এলাকায় প্রায় ৮শত মিটার স্থান নদী ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে। আমরা এসব এলাকায় জরুরি ভিত্তিতে কাজ করতে মন্ত্রণালয়ে চাহিদা প্রেরণ করেছি।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত