কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি ও উজানের পাহাড়ি ঢলে তিস্তা নদীর পানি আবারও বাড়তে শুরু করেছে। ফলে লালমনিরহাটসহ উত্তরের কয়েকটি জেলায় তিস্তা পাড়ের হাজারো মানুষ বন্যা নিয়ে শঙ্কায় আছেন।
শনিবার সকাল ৬টায় তিস্তা ব্যারেজের ডালিয়া পয়েন্টে পানির উচ্চতা রেকর্ড করা হয়েছে ৫১ দশমিক ২০ সেন্টিমিটার, সকাল ৯টায় ৫১ দশমিক ২২ সেন্টিমিটার, দুপুর ১২টায় ৫১ দশমিক ২৫ সেন্টিমিটার। বিপৎসীমা ৫২ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার। পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, আপাতত সরাসরি বন্যার আশঙ্কা নেই, তবে পরিস্থিতি দ্রুত পাল্টে যেতে পারে।
তিস্তা নদীর পানি বাড়লে আগে ক্ষতিগ্রস্ত হয় চরাঞ্চলগুলো। তিস্তাপাড়ে চর রয়েছে ৭৬টি। এসব এলাকায় অধিকাংশ মানুষ বাস করেন নদীর চরজমিতে, যেখানকার ঘরবাড়ি তুলনামূলক নিচু। ফলে পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এসব এলাকায় প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের দাবি, সরাসরি বন্যার আশঙ্কা নেই। তবুও স্থানীয়দের মাঝে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
হাতীবান্ধা উপজেলার চর ডাউয়াবাড়ী এলাকার আনোয়ার হোসেন বলেন, বন্যা এলে সবকিছু শেষ হয়ে যায়। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে মাঠের ফসল, গরু-ছাগল, বাড়ির জিনিস সব ভেসে যায়। এবারও ভয়ে আছি।
সদরের চর রাজপুরের বাসিন্দা ওসমান আলী বলেন, আমরা খুব আতঙ্কে আছি। ধীরে ধীরে পানি বাড়ছে। যে কোনো সময় ঘরবাড়িতে ঢুকতে পারে পানি।
লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শুনীল কুমার বলেন, উজানে ভারতের সিকিম ও উত্তরবঙ্গে ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। এতে তিস্তার পানি হঠাৎ করে বাড়তে শুরু করেছে। পানি এখনো বিপৎসীমার নিচে আছে, তবুও আমরা সতর্ক অবস্থানে আছি। আমরা প্রতি ঘণ্টায় পানির গতি-প্রবাহ পর্যবেক্ষণ করছি।
বিডি প্রতিদিন/এমআই