ফ্রান্সে শুরু হয়েছে ইউরোপের বৃহত্তম পেশাদার শিক্ষার্থীদের সংগঠন ইরাসমুস মুন্ডুস অ্যাসোসিয়েশন (ইএমএ)-এর ১৯তম সাধারণ সভা এবং দ্বিতীয় বার্ষিক সম্মেলন। বৃহত্তর প্যারিসের ম্যারিয়ট কোর্ট ইয়ার্ড হোটেলে তিনদিনব্যাপী এ সম্মেলনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিদের পাশাপাশি উপস্থিত রয়েছেন ইউরোপে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরাও। সম্মেলনের এবারের প্রতিপাদ্য “Go Green: Connect, Innovate, Sustain”।
এবারের সম্মেলনে ইউরোপ, এশিয়া, আফ্রিকা ও ল্যাটিন আমেরিকাসহ বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আগত প্রায় ৩০০ প্রতিনিধি অংশ নিচ্ছেন।
ইরাসমুস মুন্ডুস ইউরোপীয় কমিশনের একটি সম্মানজনক উচ্চশিক্ষা বৃত্তি কর্মসূচি, যার আওতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মেধাবী শিক্ষার্থীরা ইউরোপের নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পড়ার সুযোগ পান। এই কর্মসূচির প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের নিয়েই গঠিত ইএমএ, যার বর্তমান প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন বাংলাদেশি শিক্ষাবিদ ড. আশিকুর রহমান। এর আগে তিনি সংগঠনটির ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন।
ড. আশিকুর রহমান বলেন, “গত দুই দশকে ১৪ হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী ইরাসমুসের মাধ্যমে ইউরোপে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করেছেন। এই স্কলারশিপ তাদের পেশাগত উন্নয়নের পথ তৈরি করে দিয়েছে।” তিনি জানান, বাংলাদেশ সবসময়ই ইরাসমুস স্কলারশিপে অংশগ্রহণকারী শীর্ষ দেশগুলোর একটি এবং এই কার্যক্রমকে আরও বিস্তৃত করতে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সাথেও সমন্বয়ে কাজ চলছে।
সম্মেলনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থী রেশমা হক বলেন, “আমি বাংলাদেশের নারী শিক্ষার্থীদের এই সুযোগ কাজে লাগাতে উৎসাহিত করি। আর্থিক প্রতিবন্ধকতা থাকা সত্ত্বেও ইরাসমুস একটি আশীর্বাদস্বরূপ।"
আরেক শিক্ষার্থী ফাহমিদা হক মজুমদার বলেন, “এই স্কলারশিপ শুধু পড়ালেখার নয়, বরং পেশাগতভাবে নিজেকে গড়ে তোলার অসাধারণ সুযোগ।”
এছাড়াও ইএমএ’র নিউজলেটার এডিটরের দায়িত্বে থাকা বাংলাদেশি গবেষক মাহমুদুল হক মৃদুল বলেন, “ইরাসমুস আমাকে বৈশ্বিক মঞ্চে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করতে সহায়তা করেছে। এখানে বৈষম্যের কোনো স্থান নেই।”
এবারের ১৯তম সাধারণ সভা এবং দ্বিতীয় বার্ষিক সম্মেলন শেষ হবে আগামী শনিবার। উদ্বোধনী দিনে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি প্যারিসে নিযুক্ত বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রতিনিধি কাজী এহসানুল হক, নেপালের রাষ্ট্রদূত সহ বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক ও প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল