নোয়াখালীতে আদালতের রায়ে বুধবার দুপুরে ইউনিয়ন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন জামায়াত নেতা সাইয়েদ আহমেদ। আদালতের রায় পেয়ে তিনি সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান।
বুধবার দুপুরে নোয়াখালী জেলা দায়রা জজ আদালতের সিনিয়র সহকারী জজ দেওয়ান মনিরুজ্জামান তাকে ৪৬৬ ভোটে বিজয়ী ঘোষণা করেন।
জানা গেছে, ২০২২ সালের ৫ জানুয়ারি সোনাইমুড়ী উপজেলার বারগাঁও ইউনিয়নে চশমা প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিয়ে কেন্দ্রীয় ফলাফলে জয়লাভ করেন মাওলানা সাইয়েদ আহমদ। তবে উপজেলা পর্যায়ে ফলাফলের কাগজপত্রে হেরফের করে প্রতিদ্বন্দ্বী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি মো. সামছুল আলমকে ১১ ভোট বেশি দেখিয়ে চেয়ারম্যান ঘোষণা করা হয়। পরে তিনি নির্বাচনি ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন। দীর্ঘ শুনানি শেষে
সাড়ে তিন বছর পর আদালতের রায়ে অবশেষে চেয়ারম্যান হলেন জামাত নেতা সাইয়েদ আহমদ।
তার আইনজীবী মো. নিজাম উদ্দিন বলেন, আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকার সাড়ে তিন বছর আগে জনগণের রায় ছিনিয়ে নিয়েছিল। আজ আদালত সেই রায় ফিরিয়ে দিয়েছেন। কাশীপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ফলাফল টেম্পার করে আওয়ামী প্রার্থীকে জয়ী করা হয়, অথচ কেন্দ্রীয় ফলাফলে স্পষ্ট জয়ী ছিলেন সাইয়েদ আহমদ। উপজেলা পরিষদে ফলাফলের টেম্পারিং হয়েছে। সেখানে তাকে ১১ ভোটে হারিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে অধ্যক্ষ মাওলানা সাইয়েদ আহমদ বলেন, সত্যের জয় হয়েছে। সত্য কখনো চাপা থাকে না—আজ তা প্রমাণিত হলো। এটি জনগণের বিজয়। আমার ইউনিয়নের বাসিন্দারা বঞ্চিত হয়েছেন, তাই আমি শুরুতেই নির্বাচন ট্রাইবুনাল আদালতে মামলা দায়ের করেছিলাম। আজ আল্লাহর রহমতে জয় পেয়েছি। ইউনিয়নের জনগণের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।
তার ছেলে অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম ফরহাদ বলেন, নৌকার প্রার্থীর ভরাডুবি ঠেকাতে পেশিশক্তি ব্যবহার করে জনগণের রায় উপেক্ষা করে আমার বাবাকে ১১ ভোটে পরাজিত দেখানো হয়েছিল। আজ বিজ্ঞ আদালত সত্য প্রতিষ্ঠা করেছে। আশা করি দ্রুত গেজেট প্রকাশিত হবে। আমি সংশ্লিষ্ট আদালত, আইনজীবী, সাংবাদিক ও ইউনিয়নবাসীকে ধন্যবাদ জানাই। ধিক্কার জানাই তাদের, যারা কারচুপি করে জনগণের অধিকার হরণ করেছিল।
এ সময় জামায়াতের নোয়াখালী শহর শাখার সেক্রেটারি মাওলানা মোহাম্মদ মায়াজ, অ্যাডভোকেট শাহ জামাল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল