চুয়াডাঙ্গায় তরমুজ কেনাকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট দ্বন্দ্বের জেরে হামলায় গুরুতর জখম নিপুন সাহা (২৪) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে তিনি মারা যান তিনি।
বিষয়টি মোবাইল ফোনের মাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন ছেলে নিপুন সাহার লাশের পাশে থাকা তার মা কাজল রাণী সাহা। নিহত নিপুন সাহা বড়বাজার পাড়ার কৃষ্ণ সাহার ছেলে। তিনি আরও জানান, রাজশাহীতে নিপুনের লাশের ময়না তদন্তের পর পুলিশের অনুমতি সাপেক্ষে সেখান থেকে লাশ নিয়ে চুয়াডাঙ্গার উদ্দেশ্যে রওনা হবেন।
গত শনিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে চুয়াডাঙ্গা পৌর শহরের টাউন ফুটবল মাঠের সামনে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করা হয় নিপুন সাহাকে।
স্থানীয়রা জানান, ওই রাতে তাকে দা ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে কয়েকজন ব্যক্তি নির্মমভাবে কুপিয়ে ফেলে যায়। ঘটনার পর পুলিশ ও স্থানীয়দের সহযোগিতায় চুয়াডাঙ্গা হাসপাতালে নিলে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে রাজশাহী মেডিকেলে স্থানান্তর করা হয়। নিপুনের পরিবার রাজশাহীতে নেয়ার পর সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে আইসিইউতি নেন। সেখানেই তার চিকিৎসা চলছিলো।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ খালেদুর রহমান জানান, শুক্রবারের তরমুজ বিক্রি সংক্রান্ত ঘটনায় আগের বিরোধ থেকেই এই হামলা হয় বলে প্রাথমিকভাবে জানা যায়। ঘটনার তদন্ত চলছে, জড়িতদের আটকে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ এখনো করা হয়নি।
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার সন্ধ্যায় চুয়াডাঙ্গা বড় বাজারে একটি তরমুজ কিনে সাদা হওয়ায় ফেরত দিতে গিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতার মধ্যে দ্বন্দ্ব তৈরি হয়। রাতে বিক্রেতা পক্ষের রুবেল ইসলাম রুবু ও আমিরুল ইসলামকে কুপিয়ে জখম করা হয়। নিপুন ওই ঘটনায় রুবেল ও আমিরুলের পক্ষে থাকায় তাকেও একা পেয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি পরিবারের।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল