বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের (বিসিক) উদ্যোগে কুমিল্লায় বৈশাখী মেলার আয়োজন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) বিকেলে কুমিল্লা স্টেশন ক্লাব প্রাঙ্গণে মেলার উদ্বোধন করা হয়। মেলায় ৫০টি স্টলে জামদানি, বাঁশবেত, খাদি, মৃৎশিল্প, নকশিকাঁথা, পিঠাসহ হাতে তৈরি বিভিন্ন পণ্যের সমাহার ঘটে। উদ্যোক্তাদের মধ্যে অধিকাংশই নারী।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, কুমিল্লা বিসিকে উৎপাদিত মাছ ধরার জাল দেশের প্রায় ৫০ শতাংশ চাহিদা পূরণ করছে।
মেলার উদ্বোধন করেন কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো. তৌহিদুল ইসলাম। সভাপতিত্ব করেন বিসিক কুমিল্লার ডিজিএম মো. মুনতাসীর মামুন। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা সিভিল সার্জন ডা. আলী নুর মোহাম্মদ বশীর আহমেদ এবং বিসিক উপব্যবস্থাপক আবদুল্লাহ আল মাসুম। প্রমোশন কর্মকর্তা মো. নাজমুল হাসানের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন উদ্যোক্তা ইয়াসমিন আক্তারসহ অন্যান্যরা।
জান্নাতুল জামদানি হাউজের মো. ইউসুফ, উদ্যোক্তা শশী মজুমদার ও পার্সোনা গ্ল্যামার ওয়ার্ল্ডের হাসিনা চৌধুরী বলেন, “এখানকার বিক্রেতারা দেশীয় পণ্য বিক্রি করেন। বৈরি আবহাওয়ার মধ্যেও প্রথম দিনেই ক্রেতার উল্লেখযোগ্য উপস্থিতি ছিলো। আমরা ভালো সাড়া পাচ্ছি।”
ক্রেতা নওরিন সুমাইয়া, তাবাচ্ছুম জান্নাত ও কাকলি দে এই তিন সহপাঠী জানালেন, তারা মেলায় এসেছেন হাতে তৈরি পিঠা খেতে, সঙ্গে কিনেছেন বাঁশবেত, খাদি ও মৃৎশিল্পের পণ্য। পণ্যগুলোকে “চমৎকার” বলেও উল্লেখ করেন তারা।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো. তৌহিদুল ইসলাম বলেন, “বিসিকের অধীনে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা ধীরে ধীরে বড় উদ্যোক্তায় রূপ নিচ্ছেন। অনেকেই এখন দেশের বাইরে পণ্য পাঠাচ্ছেন, যা আমাদের জন্য গর্বের বিষয়।”
বিসিক ডিজিএম মো. মুনতাসীর মামুন বলেন, “বিসিকে উৎপাদিত নানা পণ্যের প্রচার ও প্রসারে এই মেলার আয়োজন করা হয়। এখান থেকে অনেক উদ্যোক্তা নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করার সুযোগ পান। বিসিক থেকে যাত্রা শুরু করে আরএফএল, বিআরবি ক্যাবলস্-এর মতো শত প্রতিষ্ঠান দেশের শীর্ষস্থানীয় পণ্য প্রস্তুতকারক হিসেবে দাঁড়িয়েছে। কুমিল্লা বিসিকে উৎপাদিত মাছ ধরার জাল বর্তমানে দেশের ৫০ শতাংশ চাহিদা পূরণ করছে।”
বিডি প্রতিদিন/আশিক