কুমিল্লার লাকসাম উপজেলায় নলুয়া খালের ওপর একটি সেতু ছয় মাস আগে ভেঙে যায়। এর পর থেকে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে অন্তত ১২ গ্রামের অর্ধলক্ষাধিক মানুষ। মনপাল গ্রামে হাজী মার্কেটসংলগ্ন স্থানে ভাঙা ওই সেতু দিয়ে প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে শিক্ষার্থীসহ শত শত মানুষ। যে কোনো সময় এটি ভেঙে পড়তে পারে। ঘটতে পারে প্রাণহানি। স্থানীয়রা সেতুটি পুনর্নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন।
সংশ্লিষ্টরা জানান, ১৯৯৬ সালে সেতুটি নির্মাণ করা হয়। দুই বছর আগে সেতুর ওপর দিয়ে সড়ক নির্মাণসামগ্রী নিতে রেলিং ভেঙে ফেলা হয়। এতে সেতুটি দুর্বল হয়ে পড়ে। ছয় মাস আগে সেতুর কিছু অংশ ভেঙে পড়ে। এতে সেতুর রড দেখা যায়। রেলিংবিহীন ভাঙা সেতুটি যেন রড-সিমেন্টের কঙ্কাল হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। এ সেতুর ওপর দিয়ে কৃষ্ণপুর, তপৈয়া, মনপাল, রাজাপুর, ষোলদনা, পলকট, মামীশ্বর, আতাকরা, দীঘধাইর, বরইমুড়ি, শেরপুর, নাড়িদিয়া গ্রামের মানুষ যাতায়াত করে। এ ছাড়া খিলা গণউদ্যোগ বালিকা বিদ্যালয়, বারাকাতবাগ দাখিল মাদরাসা, উত্তরদা উচ্চবিদ্যালয়সহ বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা এ পথে চলাচল করে। ধানসহ বিভিন্ন ফসল কেটে বাড়ি নিতে কৃষককে দুর্ভোগে পড়তে হয়। স্থানীয় ওবায়দুল হক মজুমদার, সামছুল হুদা, নুর মিয়া মোল্লা বলেন, ‘এ সেতুর ওপর দিয়ে ১০-১২ গ্রামের অর্ধলক্ষাধিক মানুষ চলাচল করে। সেতুটি ছয় মাস ধরে ভেঙে পড়ে আছে। এ নিয়ে কর্তৃপক্ষের কোনো নজর নেই।’ অটোরিকশাচালক সোহাগ মিয়া ও জাকির হোসেন বলেন, ‘সেতুটি ভেঙে যাওয়ায় আমরা এ পথে যাতায়াত করতে পারছি না। রামপুর ঘুরে যাতায়াত করতে হয়। এতে আমাদের ভাড়া কমে গেছে।’ প্রকৌশলী সাদিকুল জাহান রিদান বলেন, ‘মনপালে সেতু ভেঙে যাওয়ার বিষয়ে পিআইও থেকে প্রস্তাব পেয়েছি। এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’