লালমনিরহাটে গবাদিপশুর ভাইরাসজনিত রোগ লাম্পি স্কিন ডিজিজ ছড়িয়ে পড়েছে দ্রুতগতিতে। জেলার সদর, হাতীবান্ধা, পাটগ্রাম, আদিতমারী ও কালীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে ইতোমধ্যে ২ শতাধিক গরু মারা গেছে। আক্রান্ত হয়েছে কয়েক হাজার। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন ছোট ও মাঝারি খামারিরা। জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, লাম্পি স্কিন ডিজিজ ভাইরাসজনিত একটি রোগ। জুনের ২৫ দিনে জেলার পাঁচ উপজেলায় ১৭৯টি গরু লাম্পি স্কিন ডিজিজে মারা গেছে। আক্রান্ত হয়েছে প্রায় সাড়ে ১১ হাজার গরু। আমরা কৃষক ও খামারিকে নানান পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি। লালমনিরহাট শহরের ১ নম্বর ওয়ার্ডের বিএনপি কলোনিতে আট দিনে মারা গেছে আটটি গরু। আক্রান্ত রয়েছে প্রায় ২৫০টি গরু ও বাছুর। বয়স কম থাকা গরু এবং দুর্বল প্রাণী বেশি মারা যাচ্ছে এ রোগে। অধিকাংশ খামারি চিকিৎসার ব্যয় সামলাতে গিয়ে দিশাহারা হয়ে পড়েছেন। প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, লাম্পি স্কিন রোগের উপসর্গ হিসেবে শুরুতে গরুর শরীরে জ্বর আসে। তারপর ফোস্কা, গুটি, শরীর ফুলে যাওয়া, মুখ ও চোখ থেকে পানি পড়া, খাওয়া বন্ধ হয়ে যাওয়া দেখা যায়। রোগটি সাধারণত মশা-মাছি বা সংস্পর্শে ছড়ায়।
এটি গরুর মধ্যে সংক্রমণ ঘটায়, কিন্তু মানুষের জন্য ক্ষতিকর নয়। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে আমরা জনসচেতনতা তৈরির চেষ্টা করছি, খামারিদের পরামর্শ দিচ্ছি এবং সহায়ক চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তবে এখন পর্যন্ত নির্দিষ্ট কোনো ভ্যাকসিন এ জেলায় কার্যকরভাবে প্রয়োগ করা সম্ভব হয়নি।