পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটা সড়কের দুই পাশে লাল টুকটুকে কৃষ্ণচূড়া ফুলের সমারাহ। দূর থেকে দেখলে মনে হয়, বৈশাখের রোদের সব উত্তাপ গায়ে মেখে রক্তিম হয়েছে পুষ্পরাজি। কলাপাড়ার আন্ধারমানিক নদের ওপর নির্মিত সেতুর টোল প্লাজার মাত্র কয়েক শ গজ দূরে এমন দৃশ্য বিস্ময়ে উপভোগ করছেন পর্যটক ও পথচারীরা। অনেকে কৃষ্ণচূড়া ফুলের সঙ্গে সেলফি তুলছেন। তারা জানান, গ্রাম ও শহর থেকে দিনদিন কমে যাচ্ছে রঙিন কৃষ্ণচূড়া গাছ। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের পাশাপাশি মানুষ ও প্রকৃতির স্বার্থেই বেশি করে কৃষ্ণচূড়া গাছ লাগানোর আহ্বান জানিয়েছেন পরিবেশবাদীরা।
দর্শনার্থীরা জানান, তারা যতবার এ সড়কে আসেন ততবারই কৃষ্ণচূড়া ফুলে মুগ্ধ হন। উদ্ভিদবিদরা জানান, কৃষ্ণচূড়া গাছের আরেক নাম গুলমোহর। কিন্তু কৃষ্ণচূড়া নামেই বেশি পরিচিত। এর বৈজ্ঞানিক নাম ডেলোনিক্স রেজিয়া। কৃষ্ণচূড়া ফুল তিন রঙের হয়- লাল, হলুদ ও সাদা। লাল ও হলদে প্রজাতির কৃষ্ণচূড়া ফুলের গাছ অনেক জায়গায়ই দেখা যায়। সাদা রঙের কৃষ্ণচূড়া দুষ্প্রাপ্য। স্থানীয়রা জানান, সেতুর টোল প্লাজার অদূরে কুয়াকাটা মহাসড়কের দুই পাশে ১০-১১টি কৃষ্ণচূড়া গাছ রয়েছে। গাছগুলো বর্তমানে ফুলে ফুলে ঢাকা।