‘আন্তঃসীমান্ত নদী কেন্দ্র করে খাদ্যনিরাপত্তা, বিদ্যুৎ উৎপাদন, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় অগ্রগতি সম্ভব। কিন্তু সরকার নদী নিয়ে কোনো সংস্কার কমিশন গঠন করেনি। অথচ নদী হচ্ছে আমাদের অস্তিত্বের অংশ।’ গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবে আলোচনা সভায় এসব কথা জানান নদীরক্ষা আন্দোলনের কর্মীরা। আন্তঃসীমান্ত নদী এবং নদী সংস্কৃতি সংখ্যার মোড়ক উন্মোচন ও আলোচনা সভার আয়োজক ছিল নোঙর ট্রাস্ট। সহযোগিতা করে ওয়াটার কিপার বাংলাদেশ, রিভারাইন পিপল, রিভার অ্যান্ড ডেল্টা রিসার্চ সেন্টার (আরডিআরসি), বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্র (ক্যাপস), তুরাগ নদ সুরক্ষা কমিটি এবং নদীরক্ষা জোট। সভায় অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘নদী নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে কোনো কথাবার্তা শুনি না। সামনে নির্বাচন, এসব বিষয়ে সুনির্দিষ্ট অঙ্গীকার থাকবে কি না তা নিয়ে আমাদের সন্দেহ আছে।’
সংস্কার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘একমাত্র সংবিধান নিয়ে সংস্কারের কিছু সুনির্দিষ্ট আলোচনা আমরা দেখতে পাই। নদী নিয়ে তো কোনো সংস্কার কমিশনই হয়নি। অথচ নদী হচ্ছে আমাদের অস্তিত্বের অংশ এবং অস্তিত্বই থাকবে না যদি নদী না থাকে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের উন্নয়ন প্রকল্পগুলোও নদীকে শেষ করছে। বিশ্বব্যাংক, এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক আর পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকল্পের কারণে কতগুলো নদী নষ্ট হয়েছে, তা-ও বিবেচনায় নিতে হবে।’ প্রতি বছর সেপ্টেম্বরের শেষ রবিবার ‘বিশ্ব নদী দিবস’ পালিত হয়। দিবসটি উপলক্ষে নোঙর এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।