প্রথম দুই দিন দরপতনের পর সপ্তাহের তৃতীয় দিনে সূচকের সামান্য উত্থান হলেও লেনদেন কমে ৫০০ কোটি টাকার নিচে নেমে যায়। কিন্তু চতুর্থ দিনে গতকাল ঘুরে দাঁড়িয়েছে শেয়ারবাজার। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। পাশাপাশি বেড়েছে সবকটি মূল্যসূচক। বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণও। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) দাম বেড়েছে বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের। দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে সব খাত মিলিয়ে দাম বেড়েছে ২৮৯টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের। বিপরীতে দাম কমে ৬০টির। আর ৪৮টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। এতে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৪৫ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৩৯২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। মূল্যসূচক বাড়ার পাশাপাশি ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণও বেড়েছে।
বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৫৭৬ কোটি টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৪৬৭ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। এ হিসেবে লেনদেন বেড়েছে ১০৮ কোটি ৪১ লাখ টাকা। লেনদেনের শীর্ষে ছিল ওরিয়ন ইনফিউশনের শেয়ার। ৫০৫ টাকা ৮০ পয়সা থেকে বেড়ে ৫১৭ টাকা ৩০ পয়সায় কোম্পানিটির ২৩ কোটি ৪৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৮ কোটি ৫৬ লাখ টাকার। ১৭ কোটি ১১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে সামিট এলায়েন্স পোর্ট।
অন্যদিকে সিএসইর সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই কমেছে ২ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৯৮ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১০৪টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৮৩টির এবং ১১টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ১০ কোটি ১৩ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ১২ কোটি ৭০ লাখ টাকা।