ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. আশীষ কুমার চক্রবর্ত্তী বলেছেন, বাংলাদেশে এখন প্রায় সব ধরনের জটিল চিকিৎসা সম্ভব। রোগীদের বিদেশমুখিতা কমাতে তিনটি বিষয় জরুরি। আধুনিক চিকিৎসাপ্রযুক্তি ও মানসম্মত চিকিৎসা সেবা; চিকিৎসক ও নার্সদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে আরও প্রশিক্ষণ এবং রোগীদের জন্য সাশ্রয়ী ও যৌক্তিক খরচ নিশ্চিত করা। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে তিনি আরও বলেন, ‘আমরা ইউনিভার্সেল কার্ডিয়াক হাসপাতালে এরই মধ্যে অত্যাধুনিক ক্যাথল্যাব, ২৪ ঘণ্টা প্রাইমারি পিসিআই, মিনিমাল ইনভেসিভ কার্ডিয়াক সার্জারি (এমআইসিএস), সিসিইউ সেবা প্রদান করছি এবং নিকট ভবিষ্যতে আরও বড় পরিসরে চিকিৎসাসেবা প্রদান করার লক্ষ্যে কাজ করছি। চিকিৎসকদের রেফারেল সিস্টেম চালু করলে রোগীদের বাংলাদেশি ডাক্তারদের চেম্বার এ সময় কম দেওয়ার অভিযোগ কমে আসবে। জেনে রাখা দরকার, উন্নত বিশ্বের প্রায় সব সুবিধা বাংলাদেশে আছে।
প্রয়োজন আস্থার।’ ডা. আশীষ কুমার চক্রবর্ত্তী বলেন, স্বাস্থ্য বিমা থাকলে রোগীর চিকিৎসার খরচ অনেকটা কমে যায়। হঠাৎ অসুস্থ হলে পরিবারকে আর্থিকভাবে বিপদে পড়তে হয় না। এতে রোগীরা সময়মতো চিকিৎসা নিতে পারেন। দেশে বিমাব্যবস্থা যত সহজলভ্য হবে তত বেশি মানুষ আধুনিক চিকিৎসা নিতে উৎসাহিত হবেন। এ ক্ষেত্রে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের এলআইসি ইন্স্যুরেন্স মডেলকে অনুসরণ করতে পারি। আমাদের দেশের মানুষ স্বাস্থ্য বিমার প্রতি উদাসীন এবং ধারণা নেতিবাচক। সে ক্ষেত্রে সরকারকে বাধ্যতামূলক স্বাস্থ্য বিমা চালুর ব্যবস্থা করতে হবে।
বিশ্ব হার্ট দিবসে কী ধরনের উদ্যোগ নিয়েছেন-জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বিশ্ব হার্ট দিবসে আমরা বিভিন্ন ফরম্যাটে ফ্রি হার্ট ক্যাম্প আয়োজন করেছি। হাসপাতালে ফ্রি বিশেষজ্ঞ হৃদরোগ সেবা, ফ্রি স্ট্রিট ক্যাম্প, হৃদরোগ বিশেষজ্ঞদের নিয়ে স্বাস্থ্য সচেতনতা সেমিনার ও গোলটেবিল আলোচনার আয়োজন করছি। সোশ্যাল মিডিয়ায় হৃদরোগ প্রতিরোধের টিপস প্রচার করছি। আমাদের লক্ষ্য হলো-শুধু রোগ সারানো নয়, মানুষকে আগে থেকেই সতর্ক করা। যাতে তারা সুস্থ হৃদয় নিয়ে বাঁচতে পারেন। পাশাপাশি একটু ব্যতিক্রমী উদ্যোগ গ্রহণ করেছি-তা হলো ডিজিটাল ভেহিক্যাল ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় চলবে এবং হৃদরোগের সচেতনতা প্রচার করবে।’ পরিশেষে বলতে চাই, বাংলাদেশ হৃদরোগ চিকিৎসায় গর্ব করে। তাই জনগণকে একজন চিকিৎসক হিসেবে বলব-এ দেশের চিকিৎসক ও চিকিৎসাব্যবস্থার প্রতি আস্থা রাখুন।