মিটফোর্ডে সংঘটিত ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যাকান্ডের বিচার দাবি করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, যে কোনো ধরনের অপরাধ বা সহিংসতার সঙ্গে জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না। তারা মাটির নিচে পালালেও সেখান থেকে টেনে বের করে বিচার নিশ্চিত করতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে কেউ এমন কাজ করার সাহস না পায়।’ গতকাল রাজধানীর উত্তরায় এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। মিটফোর্ডের ঘটনাকে রাজনৈতিক রং দিয়ে কিছু দল ফায়দা লোটার চেষ্টা করছে বলেও অভিযোগ রিজভীর। তিনি বলেন, ‘দু-একটি রাজনৈতিক দল মিছিল করে এ হত্যাকান্ডের দায় বিএনপির ওপর চাপানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু আমরা শেখ হাসিনার মতো নিশ্চুপ থাকিনি। অপরাধীদের বিরুদ্ধে দলীয়ভাবে ব্যবস্থা নিয়েছি, তাদের বহিষ্কার করেছি এবং ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছি। তাহলে আপনারা মিছিল করছেন কেন? এটা তো স্পষ্ট রাজনৈতিক ফায়দা লোটার চেষ্টা।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা ভুলে যাইনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের পায়ের রগ কেটে দেওয়া হয়েছিল। বাস থেকে তুলে নিয়ে ছাত্রদল নেতাকে হত্যা করা হয়েছিল। সেই নৃশংসতা ও সহিংসতার ইতিহাস মানুষ এখনো ভুলে যায়নি। এখন আপনারা সেই স্মৃতি ভুলিয়ে দিয়ে বিএনপির ইতিবাচক দিকগুলো উপেক্ষা করে সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করছেন, এতে কোনো লাভ হবে না।’
খুলনায় রগ কেটে হত্যাকান্ড এবং চাঁদপুরে মসজিদের ভিতরে ইমামকে কুপিয়ে হত্যার উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, ‘এসব ঘটনায় তো কাউকে দায়ী করতে দেখিনি। অথচ মিটফোর্ডের ঘটনা নিয়ে বিএনপিকে টার্গেট করা হচ্ছে। আমরা সোহাগ হত্যাসহ সব হত্যার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।’ রিজভী বলেন, ‘বিএনপি একটি বড় রাজনৈতিক পরিবার। সেখানে দু-একজন দুষ্কৃতকারী ঢুকে পড়তেই পারে। কিন্তু তাদের চিহ্নিত করা গেলে কঠোর ব্যবস্থা নিতে আমরা পিছপা হই না। সুজানগরে সম্প্রতি বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় সেই রাতেই জড়িতদের বহিষ্কার করা হয়েছে। মিটফোর্ডের ঘটনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এটি ছিল ব্যক্তিগত দ্বন্দ্ব ও ব্যবসায়িক বিরোধের জের। দলীয় মতাদর্শ বা পদ-পদবি নিয়ে কোনো সংঘর্ষ হয়নি। ঘটনার পেছনে ভাঙারি ব্যবসা সংক্রান্ত বিরোধ রয়েছে। এখানে দলীয় কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। রিজভী আরও বলেন, ‘যে কোনো ধরণের অপরাধ বা সহিংসতার সঙ্গে জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না। তারা মাটির নিচে পালালেও সেখান থেকে টেনে বের করে বিচার নিশ্চিত করতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে কেউ এমন কাজ করার সাহস না পায়।’