বাংলাদেশ সফররত ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্র উপমন্ত্রী আরামানথা ক্রিস্টিয়ানা নাসির বলেছেন, বাংলাদেশ ও ইন্দোনেশিয়া একসঙ্গে এগিয়ে চলবে আমাদের অঞ্চলের প্রবৃদ্ধি ও উদ্ভাবনের পথপ্রদর্শক হিসেবে। আমরা দুটি জাতিই উদ্যমী, শক্তিশালী ও সম্ভাবনাময়। অর্ধশতকেরও বেশি সময় ধরে আমাদের কূটনৈতিক সম্পর্ক বিদ্যমান। ইন্দোনেশিয়া বর্তমানে বাংলাদেশে চতুর্থ বৃহত্তম রপ্তানিকারক দেশ। চীন, ভারত ও সিঙ্গাপুরের পরই আমাদের অবস্থান। এ সময় তিনি দুই দেশের মধ্যে ব্যবসাবাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির সম্ভাবনাময় খাতগুলো খুঁজে বের করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। গতকাল সন্ধ্যায় ইন্দোনেশিয়া-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি-আইবিসিসিআই আয়োজিত বিজনেস গ্যাদারিং অ্যান্ড নেটওয়ার্কিং ডিনারে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে আয়োজিত এ সভায় ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্র উপমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশে আবারও আসতে পেরে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। এটি আমার এই সুন্দর শহরে তৃতীয়বার আগমন। এ সন্ধ্যায় আপনাদের মাঝে থাকতে পারা আমার জন্য সত্যিই একটি গৌরবের বিষয়।
বিশেষ করে বাংলাদেশ ও ইন্দোনেশিয়ার ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের সঙ্গে। আমি আইবিসিসিআই এবং ইন্দোনেশীয় দূতাবাসকে ধন্যবাদ জানাতে চাই এ আয়োজনের জন্য। তিনি আরও বলেন, এ আয়োজনের পেছনের প্রেক্ষাপট প্রায় চার দিন আগের। সে সময় আমি মাননীয় রাষ্ট্রদূত হ্যারোর সঙ্গে একটি আলোচনা করি। তাকে বলেছিলাম, আমি তাজিকিস্তানে যাচ্ছি এবং ফেরার পথে চাইলে ঢাকা হয়ে আসতে পারি। শর্ত ছিল যদি তিনি একটি ব্যবসায়িক ফোরাম আয়োজন করতে পারেন। তিনি তা করেছেন। আইবিসিসিআইর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতায় আজকের আয়োজন সম্ভব হয়েছে। আমি আজকের সন্ধ্যায় এত বিপুলসংখ্যক ব্যবসায়ী নেতাকে দেখে খুব খুশি। ইন্দোনেশিয়া-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি-আইবিসিসিআই প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এ সংগঠনটি দুই দেশের মধ্যে ব্যবসাবাণিজ্যের উন্নয়নে কাজ করছে।
এর আগে গতকাল বিকালে ঢাকায় পৌঁছান ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্র উপমন্ত্রী আরামানথা ক্রিস্টিয়ানা নাসির। ৪ জুন তিনি দেশে ফিরে যাবেন। ঢাকা সফরকালে তিনি বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে অংশগ্রহণ করবেন বলে জানা গেছে। এ সফর ঘিরে বাংলাদেশ ও ইন্দোনেশিয়ার মধ্যকার সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে বলে আশা করছে সংশ্লিষ্ট মহল।