গ্রামীণ ব্যাংকের ওপর থেকে সরকারের একক কর্তৃত্ব কমাতে গ্রামীণ ব্যাংক (সংশোধন) অধ্যাদেশের খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ। অধ্যাদেশে সরকারের মালিকানা পরিশোধিত মূলধনের ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ করা হয়েছে। ব্যাংকের সুবিধাভোগীদের অংশ ৭৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৯০ শতাংশ করা হয়েছে। গতকাল রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। এর আগে সকালে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে তাঁর কার্যালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ব্রিফিংয়ে পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, গ্রামীণ ব্যাংক আগে একটা মূল্যবোধ নিয়ে কাজ করত। সেটা হচ্ছে যারা গ্রামীণ ব্যাংকের সুবিধাভোগী তাদেরই অংশগ্রহণ থাকবে ব্যাংক পরিচালনায়। কিন্তু বিগত সময়ে আমাদের বর্তমান প্রধান উপদেষ্টা নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদকে রাজনৈতিকভাবে লক্ষ্যবস্তু করা হয়। গ্রামীণ ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ ঋণগ্রহীতাদের হাত থেকে সরকারের হাতে অনেকাংশে নিয়ে আসা হয়। অনুমোদিত অধ্যাদেশে ব্যাংটির পরিচালনা বোর্ডের ক্ষেত্রে বলা হয়েছে, যারা এ ব্যাংকের সুবিধাভোগী, তাদের মধ্য থেকে নয়জন নির্বাচিত হয়ে আসবেন। সেখান থেকে তিনজন মনোনীত হবেন এবং তাদের মধ্য থেকে একজন চেয়ারম্যান নিযুক্ত হবেন। এ ছাড়া আগে গ্রামীণ ব্যাংক যেখানে শুধু ভূমিহীনদের জন্য কাজ করত, সংশোধিত অধ্যাদেশ অনুযায়ী এখন বিত্তহীনদের একটা সংজ্ঞা সংযোজন করা হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদের পরিসর থেকে বেরিয়ে সিটি করপোরেশন ও পৌরসভা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। গ্রামীণ ব্যাংককে জনস্বার্থ সংস্থা হিসেবে বিবেচনার একটা বিধানও আনা হয়েছে।