পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে স্ত্রীকে নিয়ে গ্রামের বাড়ি বগুড়া যাচ্ছিলেন সৈকত আহমেদ (২৩)। সিরাজগঞ্জ সড়ক পার হয়ে হাটিকুমরুলে ঢাক-বগুড়া মহাসড়কে এলে একটি গাড়ির সুপারভাইজারের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় তার।
এক পর্যায়ে সুপারভাইজার ও হেলপার তাকে সজোরে ধাক্কা দেন। আর এতেই নিজেকে সামলাতে না পেরে চলন্ত গাড়ি থেকে ছিটকে পড়েন সৈকত। এ সময় চলন্ত গাড়ির চাকা তার ওপর দিয়ে চলে যাওয়ায় মাথা থেতলে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি।
বুধবার (৪ জুন) দুপুরে বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিমপাড়ের রাধানগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত সৈকত আহমেদ বগুড়ার নন্দীগ্রাম থানার হাজার বেগুনী পাড়া গ্রামের মো. সোলেমানের ছেলে।
পুলিশ জানায়, বাসটি বগুড়া না যাওয়ার কথা জানালে যাত্রী সৈকতের সঙ্গে সুপারভাইজার ও হেলপারের কথাকাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে তাকে চলন্ত বাস থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়া হয়। তখন পেছনের চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি।
হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ওসি আব্দুর রউফ বলেন, ‘দুর্ঘটনার পর চালক, হেলপার ও সুপারভাইজার পালিয়ে গেছে। তবে ঘাতক বাসটিকে আটক করে থানায় আনা হয়েছে। তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বিডি প্রতিদিন/জামশেদ