কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়ায় এবারও অনুষ্ঠিত হচ্ছে ঈদুল আজহার বড় জামাত। এটি হবে ঈদুল আজহার ১৯৮তম জামাত। শুরু হবে সকাল ৯টায়।
জামাতে ইমামতি করবেন মুফতি আবুল খায়ের মুহাম্মদ ছাইফুল্লাহ। প্রতিবারের মতো এবারও নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে চলছে ঈদজামাত আয়োজনের শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি।
ঈদজামাতকে সফল করতে জেলা প্রশাসনের নেতৃত্বে ঈদগাহ পরিচালনা কমিটির সঙ্গে কাজ করছে পুলিশ ও পৌর কর্তৃপক্ষ। ২০১৬ সালে ঈদুল ফিতরের দিন সংঘটিত জঙ্গি হামলার বিষয়টি মাথায় রেখে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
এরই মধ্যে মাঠের নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। স্থানীয় লোকজনও জামাতের প্রস্তুতি ও নিরাপত্তার আয়োজন দেখে খুশি।
মাঠে দাগ কাটা, বালু ফেলাসহ শোলাকিয়া ময়দানকে জামাতের উপযোগী করার কাজ শেষ হয়েছে। সংস্কার করা হয়েছে মুসল্লিদের ওজুখানা ও টয়লেট। নিরাপদ খাবার পানির ব্যবস্থাও করা হয়েছে।
ঢাকা রেঞ্জের পুলিশ সুপার (অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অ্যান্ড ফিন্যান্স) মোহা. কাজেম উদ্দিন জানান, নিরাপত্তাব্যবস্থাকে অগ্রাধিকার দিয়ে সাজানো হয়েছে জামাতের সব আয়োজন। জামাতের সময় মাঠ ও আশপাশে মোতায়েন থাকবে দুই প্লাটুন বিজিবি, হাজার খানেক পুলিশ, র্যাব ও আনসার বাহিনীর সদস্যরা। পাশাপাশি মাঠে সাদা পোশাকে নজরদারি করবে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন। পুরো ঈদগাহ মাঠ থাকবে সিসি ক্যামেরার আওতায়। নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিতে অস্থায়ীভাবে তৈরি করা ওয়াচ টাওয়ারগুলো ব্যবহার করবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। আকাশ থেকে নজরদারি করবে পুলিশের ড্রোন ক্যামেরাও।
দূরের মুসল্লিদের যাতায়াতের জন্য শোলাকিয়া স্পেশাল নামে দুটি বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। ঈদেও দিন ভৈরব থেকে একটি এবং আরেকটি ময়মনসিংহ থেকে কিশোরগঞ্জের উদ্দেশে ছেড়ে আসবে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে বহুসংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক এবং মেডিকেল টিম।
জনশ্রুতি আছে, ১৮২৮ সালে শোলাকিয়ায় প্রথম ঈদের জামাতে সোয়া লাখ মুসল্লি একসঙ্গে ঈদের নামাজ আদায় করেছিলেন। সেই থেকে এ মাঠের নাম হয় ‘সোয়া লাখিয়া’। যা এখন শোলাকিয়া নামে পরিচিত।
বিডি প্রতিদিন/নাজিম