উজানের ঢল ও থেমে থেমে বৃষ্টিতে গাইবান্ধার ব্রহ্মপুত্র নদ, করতোয়া ও ঘাঘট নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। তবে এসব নদ-নদীর পানি এখনো বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এদিকে তিস্তা নদীর পানি গত দুইদিন কমতে শুরু করেছে।
ব্রহ্মপুত্র নদ, করতোয়া ও ঘাঘট নদীর পানি বৃদ্ধির কারণে গাইবান্ধা সদর উপজেলার কামারজানি ও ঘাগোয়া, ফুলছড়ি উপজেলার এরেন্দাবাড়ি ও ফজলুপুরের মানুষের মাঝে বন্যা আতঙ্ক বিরাজ করছে। এর মধ্যে তিস্তার পানি কমায় সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তারাপুর ও হরিপুর ইউনিয়নের মানুষ রয়েছে স্বস্তিতে।
গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নিয়ন্ত্রণকক্ষের তথ্য অনুযায়ী, বুধবার সন্ধ্যা ৬টায় ব্রহ্মপুত্র নদের পানি ফুলছড়ি স্টেশনে গত ২৪ ঘণ্টায় ৭৪ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। একইভাবে ঘাঘট নদীর পানি জেলা শহরের নতুন ব্রিজ স্টেশনে ৬২ সেন্টিমিটার ও করতোয়ার পানি গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার চকরহিমাপুর স্টেশনে ৪৭ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে এসব নদ-নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম না করলেও এসব এলাকার মানুষের মাঝে বন্যা আতঙ্ক বিরাজ করছে।
এদিকে তিস্তার পানি সুন্দরগঞ্জ উপজেলা সংলগ্ন কাউনিয়া স্টেশনে ১৮ সেন্টিমিটার হ্রাস পেয়েছে। এতে তিস্তাপাড়ের মানুষ স্বস্তিতে রয়েছে।
গাইবান্ধা পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী হাফিজুল হক বলেন, জেলার তিন নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলেও তা বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল