বগুড়া শহরের সাতমাথা এলাকায় গুঁড়িয়ে দেওয়া জেলা আওয়ামী লীগ ও জেলা জাসদ কার্যালয়কে মসজিদ এবং পাবলিক টয়লেট বানানোর ঘোষণা দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা। গতকাল সন্ধ্যায় জাসদ কার্যালয়ে মাগরিবের আজান দিয়ে নামাজ পড়ে এই ঘোষণা দেওয়া হয়। এর আগে একই জায়গায় ব্যক্তি মালিকানা সম্পত্তি দাবি করে সাইনবোর্ড লাগানো হয়। দুপুরে বগুড়া শহরের সূত্রাপুর এলাকার জনৈক উজ্জ্বল এই সাইনবোর্ড টাঙিয়ে দেন। এরপর উজ্জ্বলের বড় ভাই মিজানুর রহমান বলেন, ১৯৫২ সালে আমার দাদা কোরবান আলী ক্রয় সূত্রে সোয়া ৬ শতাংশ জায়গার মালিক। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের আগ পর্যন্ত জায়গা তার দখলে ছিল। দেশ স্বাধীনের পর জায়গা বেদখল হয়ে যায়। এ নিয়ে আদালতে মামলাও হয়েছিল।
আমাদের কাছে দলিলসহ সব ধরনের কাগজপত্র আছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল জায়গা দখল করে তাদের অফিস করায় আমরা এতদিন দখলে নিতে পারিনি। এ ছাড়া এখানে কিছু দোকান ছিল, যা ভাড়া অবস্থায় ছিল। এতদিন রাজনৈতিক দলগুলোর ভয়ে আমরা চুপ ছিলাম। ছাত্র-জনতা গত বৃহস্পতিবার রাতে অফিস ভেঙে গুঁড়িয়ে দিলে আমরা সাহস করে সাইনবোর্ড টাঙিয়ে দেই।
বগুড়া জেলা জাসদের সদস্য অ্যাডভোকেট আবদুল লতিফ পশারি ববি বলেন, যারা মালিকানা দাবি করছেন- তাদের মামলা ১৯৯৪ সালে সিভিল কোর্ট মালিকানা খারিজ করে। এরপর মোটর মালিক সমিতি মালিকানা দাবি করে মামলা করে। সেই মামলাও খারিজ হয়ে যায়। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ২০০৯ সালে এই জায়গা অর্পিত সম্পত্তি হিসেবে রেকর্ড হয়। ১৯৪৮ সাল থেকে এখানে ছাত্রলীগের অফিস ছিল। ’৭৩ সালে জাসদকে এক বছরের লিজ দেওয়া হয়। এরপর মামলার কারণে পরবর্তীতে আর লিজ নবায়ন করা হয়নি।
বগুড়া সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) পলাশ চন্দ্র সরকার বলেন, থানা পুলিশের মাধ্যমে ঘটনাটি জেনেছি। সেখানে সার্ভেয়ার পাঠানো হয়েছে। নথিপত্র দেখে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।