চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ফের কলমবিরতি পালন করেছেন। সোমবার সকাল ৯টা থেকে ১২টা পর্যন্ত তিন ঘণ্টা এ কর্মসূচি পালিত হয়। এসময় কর্মকর্তারা আমদানি-রপ্তানিসংক্রান্ত কোনো নথিতে স্বাক্ষর করেননি। এতে ব্যাহত হয় আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সংক্রান্ত জারি করা অধ্যাদেশ সঠিকভাবে সংস্কার না করার প্রতিবাদসহ বিভিন্ন দাবিতে এই কলমবিরতি পালন করা হয় বলে জানান চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের এক কর্মকর্তা।
দেশের শুল্ক আদায়কারী কাস্টম স্টেশনগুলোর মধ্যে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস সবচেয়ে বড়। চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি হওয়া পণ্যের শুল্কায়ন হয় এখানে। প্রতি মাসে এ কাস্টম হাউসে ৫-৬ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আদায় হয়। তাই শুল্কায়ন না হলে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম ধীর হয়ে পড়ে। এতে বন্দর থেকে পণ্য ডেলিভারি নিতেও আমদানিকারকদের সমস্যার মুখে পড়তে হয়।
চট্টগ্রাম সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাজী মাহমুদ ইমাম বিলু জানান, ৩ ঘণ্টা কলমবিরতি পালন করলেও পরবর্তী সময়ে কিছুটা বেশি কাজ করে দিনের কাজ শেষ করছেন কাস্টম কর্মকর্তারা। কিন্তু দিনের প্রথম তিন ঘণ্টা কাজ না হওয়ায় ওই সময় সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টরা আমদানি-রপ্তানিকারকদের কোনো তথ্য জানাতে পারছেন না। তাদের কাস্টম হাউসে গিয়ে অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে। কর্মসূচি শেষে যখন কাজ শুরু হয়, তখন হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। সবাই একসঙ্গে কাগজপত্র নিয়ে যান কর্মকর্তাদের কাছে। এতে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে কিছুটা হলেও বিরূপ প্রভাব পড়ছে।
উল্লেখ্য, এর আগেও একই ইস্যুতে কলমবিরতি পালন করেছিলেন চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
বিডি প্রতিদিন/এমআই