ডেঙ্গু এখন শুধু একটি মৌসুমি রোগ নয়, এটি একটি সামাজিক সংকট, যা প্রতিরোধে প্রয়োজন জনগণের সম্মিলিত সচেতনতা। সমাজে তরুণরাই সবচেয়ে গতিশীল ও প্রভাবশালী শ্রেণি; তাই তাদেরকে সঠিকভাবে সচেতন ও প্রশিক্ষিত করা গেলে ডেঙ্গুর মতো ভয়াবহ মহামারি প্রতিরোধ করা সম্ভব।
এমনই বিশ্বাস থেকে বসুন্ধরা শুভসংঘ রূপগঞ্জ শাখা আয়োজন করে ‘ডেঙ্গু প্রতিরোধে তরুণদের ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনার ও লার্ভা ধ্বংস কার্যক্রম। শনিবার রূপগঞ্জ এলাকায় অনুষ্ঠিত এ কর্মসূচিতে অর্ধ শতাধিক তরুণ-তরুণী অংশগ্রহণ করেন। আয়োজনে অংশগ্রহণকারীরা ডেঙ্গুর প্রজননস্থল চিহ্নিত করা, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা এবং লার্ভা ধ্বংসের বাস্তব কৌশল সম্পর্কে সরাসরি প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন।
এ উদ্যোগের সার্বিক তত্ত্বাবধান করেন বসুন্ধরা শুভসংঘ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মিলটন। রূপগঞ্জ শাখার সভাপতি আহসানুল হক ও সাধারণ সম্পাদক রিমন রহমানের নেতৃত্বে অনুষ্ঠানটি প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সহ-সভাপতি নুসরাত জাহান, নারী ও মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মিথিলা, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক মিশকাত, সদস্য নাবিলা, ইয়াছির, রাসেল, মেহেদী, ইসমাঈল, মাইনুল, রোহিত, আশরাফুল ও হাসানসহ শুভসংঘের সক্রিয় তরুণ সদস্যরা।
প্রশিক্ষণের অংশ হিসেবে তরুণরা এলাকার বিভিন্ন বাড়ি, খোলা স্থান ও নর্দমায় জমে থাকা স্থির পানি পরীক্ষা করে লার্ভা ধ্বংস কার্যক্রম পরিচালনা করেন। স্থানীয় জনগণকেও তারা সচেতন করেন, যাতে সবাই নিজের বাড়ির আশেপাশে পানি জমে থাকতে না দেয়।
বসুন্ধরা শুভসংঘ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মিলটন বলেন, ‘ডেঙ্গু প্রতিরোধে তরুণদের সক্রিয় ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তারা যদি নিজ নিজ এলাকা পরিষ্কার রাখার দায়িত্ব নেয়, প্রতিবেশীদের সচেতন করে, তাহলে এ রোগের প্রকোপ অনেকাংশে কমে যাবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘শুভসংঘের লক্ষ্য শুধু সাহায্য নয়, মানুষকে সচেতন করে গড়ে তোলা। তরুণ প্রজন্ম যদি সমাজের সমস্যা সমাধানে নেতৃত্ব দেয়, তাহলে ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ হবে মানবিক ও দায়িত্বশীল।’
বসুন্ধরা শুভসংঘ প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই সামাজিক উন্নয়ন, মানবিক সহায়তা ও ইতিবাচক কর্মসূচিতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আয়োজকরা আশা প্রকাশ করেন,এ ধরনের কর্মশালার মাধ্যমে তরুণদের মধ্যে দায়িত্ববোধ, সমাজসচেতনতা ও মানবিক মূল্যবোধ জাগ্রত হবে। পাশাপাশি তারা পরিবার ও সমাজে পরিবর্তনের দূত হিসেবে ভূমিকা রাখবে।
বিডি-প্রতিদিন/আশফাক