তিন তিনবার এশিয়া কাপের ফাইনাল খেলেছে বাংলাদেশ। শিরোপার স্বাদ নেওয়া হয়নি। ‘মরুরাজ্য’ সংযুক্ত আরব আমিরাত যাওয়ার আগে টাইগার অধিনায়ক লিটন দাস টি-২০ এশিয়া কাপের শিরোপা জয়ের স্বপ্নের কথা বলেছিলেন। স্বপ্ন আর বাস্তবতার ব্যবধান যে অনেক, সেটা টি-২০ এশিয়া কাপে হাঁড়ে হাঁড়ে টের পেয়েছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। সুপার ফোরে দুই ফাইনালিস্ট ভারত ও পাকিস্তানের কাছে হেরে লিটন, জাকের আলীরা শূন্য হাতে শেষ করেছেন টুর্নামেন্ট। এখন ক্রিকেটাররা প্রস্তুতি নিচ্ছেন আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিনটি করে টি-২০ ও ওয়ানডে সিরিজ খেলতে। পাঁজরের ব্যথায় আফগানিস্তান সিরিজ না খেলে দেশে ফিরেছেন টাইগার অধিনায়ক লিটন। এশিয়া কাপের ফাইনালে উঠতে না পেরে বাংলাদেশের ক্রীড়াপ্রেমীদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন টাইগার অধিনায়ক। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে আজ লিটনের পেজে পোস্টে সমর্থকদের কাছে ক্ষমা চেয়ে লেখা হয়েছে, ‘এশিয়া কাপ ২০২৫-এ আমরা দল হিসেবে নিজেদের সেরাটা দিয়েছি। ফাইনালে খেলা এবং জেতা ছিল আমাদের মূল্য লক্ষ্য। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমরা তা অর্জন করতে পারিনি। দল হিসেবে আমরা বাংলাদেশের সব অনুরাগী সমর্থকদের কাছে আন্তরিকভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।’ লিটনকে ছাড়া বাংলাদেশ এখন দুবাইয়ে। আগামীকাল থেকে শারজাহতে তিনটি করে টি-২০ ও ওয়ানডে ম্যাচ সিরিজ খেলবে আফগানিস্তানের বিপক্ষে।
ফেবারিট ভারত চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। ফাইনালে রেকর্ড ৯ বারের চ্যাম্পিয়ন ভারত হারিয়েছে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী
পাকিস্তানকে। অথচ দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের ফাইনালে ভারতের প্রতিপক্ষ হওয়ার সুবর্ণ সুযোগ ছিল বাংলাদেশের। বাজে ব্যাটিংয়ে সেই সুযোগ হাতছাড়া করেন টাইগাররা। পাকিস্তানের বিপক্ষে অলিখিত সেমিফাইনালে দুরন্ত বোলিং করেন মুস্তাফিজুর রহমান, তাসকিন আহমেদ, রিশাদ হোসেনরা। পাকিস্তানকে ১৩৫ রানে বেঁধে ফেলে। কিন্তু পারভেজ ইমন, জাকের আলী, তাওহিদ হৃদয়দের দায়িত্বহীন ব্যাটিংয়ে ১২৪ রানে আটকে ফাইনালের স্বপ্ন জলাঞ্জলি দেয় আরব সাগরে। গ্রুপ পর্বে অবশ্য আফগানিস্তান ও হংকংকে হারায়। হেরে যায় শ্রীলঙ্কার কাছে। গ্রুপ রানার্সআপ হয়ে সুপার ফোরে জায়গা নেয়। সুপার ফোরে প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে ফাইনালের স্বপ্ন জিইয়ে রাখে। পরের দুই ম্যাচ ভারত ও পাকিস্তানের কাছে হেরে যায়। পাঁজরের ইনজুরির জন্য সুপার ফোরের শেষ দুটি ম্যাচে খেলেননি লিটন। তার পরিবর্তে টাইগারদের নেতৃত্ব দেন জাকের আলী। আসরে ব্যাট হাতে জাকের ছিলেন পুরোপুরি ব্যর্থ। শেষ দুই ম্যাচ খেলতে না পারার কারণও লেখা হয় পোস্টে, ‘ব্যক্তিগতভাবে চোটের কারণে শেষ দুটি ম্যাচে খেলতে না পারাটা ছিল ভীষণ কষ্টের। একই কারণে আসন্ন আফগানিস্তান সিরিজেও অংশ নিতে পারব না। সুস্থ হওয়ার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি, কিন্তু পারিনি। এটা আমাকে অনেক দিন কষ্ট দেবে।’
আগামীকাল থেকে শারজাহতে বাংলাদেশ-আফগানিস্তান তিন ম্যাচ টি-২০ সিরিজ শুরু হচ্ছে। টি-২০ সিরিজের পর ওয়ানডে সিরিজ শুরু হবে ৮ অক্টোবর। টি-২০ সিরিজে নেতৃত্ব দেবেন জাকের আলী এবং ওয়ানডে সিরিজে মেহেদি হাসান মিরাজ।