চলতি মৌসুমে কোনো ট্রফি জেতা হয়নি ঢাকা আবাহনীর। তবু সান্ত্বনা দিয়েই ঘরোয়া ফুটবল শেষ করল তারা। গত লিগে ছিল তৃতীয় স্থানে। এক মৌসুম পর রানার্সআপের জায়গা ফিরে পেল তারা। গতকাল কুমিল্লা ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত বসুন্ধরা গ্রুপ পেশাদার লিগের ম্যাচে আবাহনী ৩-০ গোলে ব্রাদার্স ইউনিয়নকে পরাজিত করে। এ জয়ে ১৮ ম্যাচে ৩৫ পয়েন্ট নিয়ে রানার্সআপ হলো তারা। বসুন্ধরা কিংসেরও দ্বিতীয় হওয়া সম্ভাবনা ছিল। যদি আবাহনী হারত তখন বসুন্ধরা জিতে গেলে দুই দলের সমান ৩২ পয়েন্ট হতো। গোল ব্যবধানে এগিয়ে থেকে কিংস হতো রানার্সআপ।
তা আর হয়নি। ৩২ পয়েন্ট নিয়ে লিগ ক্যারিয়ারের প্রথমবারের মতো তৃতীয় হলো কিংস। রানার্সআপ হওয়ার সুবাদে আবাহনীর এফসি কাপে খেলারও সম্ভাবনা উজ্জ্বল হলো। চ্যাম্পিয়ন হলেও ঢাকা মোহামেডানের এএফসি লাইসেন্স নেই। আবেদন করা হলেও তারা কোনো উত্তর পায়নি। শেষ পর্যন্ত লাইসেন্স না হলে এএফসি কাপে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করবে ঢাকা আবাহনী। কুমিল্লায় আবাহনীর হয়ে গোল করেন বাবল, রাফায়েল ও মিরাজুল। কিংস অ্যারিয়ান কিংস ৫-৩ গোলে ওয়ান্ডারার্সকে পরাজিত করে। বিজয়ী দলের শেখ মোরসালিন ৩ গোলে হ্যাটট্রিক করেন। রাকিব হোসেন ও রাব্বি হোসেন ১টি করে গোল করেন। ওয়ান্ডারার্সের সাদিক, সুমন ও মানজুরুল গোলগুলো করেন।
প্রথম লেগে শেষ ম্যাচে ইয়ংমেন্স ফকিরেরপুলের কাছে মোহামেডান হেরে যায়। সেই প্রতিশোধ তারা নিন গাজীপুরে। চ্যাম্পিয়নরা লিগ শেষ করল ইয়ংমেন্স ফকিরেরপুলকে ৬-১ গোলে হারিয়ে। এর মধ্যে অধিনায়ক সুলেমান দিয়াবাতে একাই করেছেন পাঁচ গোল। তিন ম্যাচ আগেই তাদের শিরোপা নিশ্চিত হলেও পরের ম্যাচে রহমতগঞ্জের হার ও ব্রাদার্সের বিপক্ষে ড্র করেছিল। অবশেষে সর্বোচ্চ ৪২ পয়েন্টেই সাদা-কালোরা লিগ শেষ করল। আবাহনী তাদের চেয়ে সাত ও কিংস ১০ পয়েন্ট পিছিয়ে লিগ শেষ করল। এদিকে স্যামুয়েল বোয়াটেংয়ের হ্যাটট্রিকে রহমতগঞ্জ ৪-১ গোলে পুলিশকে পরাজিত করে। দিয়াবাতে ও বোয়াটেং ১৯ গোল করে লিগে যৌথভাবে সর্বোচ্চ গোলদাতা হলেন।