দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মোমেন বলেছেন, নির্বাচনে কালো টাকা ব্যবহারের সুযোগ নেই। আইনের ফাঁকফোকর দিয়ে এ ধরনের অপচেষ্টা করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কালো টাকা নিয়ন্ত্রণে দুদকসহ সরকারি বিভিন্ন সংস্থা মাঠে তৎপর থাকবে।
সোমবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, নির্বাচন হলে বিভিন্ন কারণে টাকা-পয়সা খরচ করার প্রবণতা বেড়ে যায়। আমাদের দেশে ভোটার ক্রয় করারও একটা প্রবণতা আছে। টাকা-পয়সার যখন ব্যবহার বেড়ে যায়, এর দুটো দিক আছে- একটি হলো ডিমান্ড সাইড, আরেকটি হলো সাপ্লাই সাইড। সাপ্লাই সাইড আমাদের বন্ধ করতে হবে। সেক্ষেত্রে ব্যাংকের ভূমিকা আছে, আমাদেরও (দুদকের) আছে। আমরা চেষ্টা করব যতটা সম্ভব নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।
অবৈধ টাকার পরিমাণ বেড়ে গেলে সেটি একপর্যায়ে মুদ্রাস্ফীতি তৈরি করতে পারে বলেও শঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
নির্বাচনের সময় সম্পদ বিবরণীতে কোনো প্রার্থী যদি ভুয়া তথ্য দেয় তাদের বিরুদ্ধে তথ্য দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি আরও বলেন, হলফনামা দাখিল করার পর আমাদের হাতে সময় কম থাকে। সেক্ষেত্রে মিডিয়ার কাছে যদি কোনো তথ্য থাকে যে, কেউ তথ্য লুকিয়েছেন... তাহলে আমাদের সঙ্গে সেটি শেয়ার করবেন।
সবাইকে এখন থেকেই ‘দুর্নীতিগ্রস্ত এমপি প্রার্থী চাই না’ বলে আওয়াজ তোলার আহ্বানও জানান দুদক চেয়ারম্যান।
সরকার একটি ভালো নির্বাচন দিতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ জানিয়ে আবদুল মোমেন বলেন, সরকার নির্বাচনের প্রস্তুতি গ্রহণ করছে। আশা করছি নির্ধারিত সময়েই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
বিডি প্রতিদিন/কেএ