বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক নার্গিস বেগম বলেছেন, গণতান্ত্রিক স্থিতিশীলতাকে রক্ষা করতে হলে ফ্যাসিস্টের দোসরদের বয়কট করতে হবে। তাদের সাথে কোনো সামাজিক সম্পর্কও রাখা যাবে না।
সংবাদপত্রের কালো দিবস উপলক্ষে সাংবাদিক ইউনিয়ন যশোর আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি।
আজ সোমবার দুপুরে যশোর প্রেসক্লাব অডিটোরিয়ামে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সাংবাদিক ইউনিয়ন যশোরের সভাপতি আকরামুজ্জামানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন যশোর জেলা বিএনপির সভাপতি সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, জেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক গোলাম রসুল ও যশোর প্রেসক্লাবের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন। আলোচনায় অংশ নেন সাংবাদিক নেতা আনোয়ারুল কবির নান্টু, আহসান কবীর, সাইফুর রহমান সাইফ, সাইফুল ইসলাম সজল, তৌহিদ জামান, এম আইউব, এস এম ফরহাদ, নূর ইসলাম প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক নার্গিস বেগম আরও বলেন, সাংবাদিকদের একটি অংশের নির্লজ্জ দালালি আর তোষামোদির কারণে হাসিনা ১৭ বছর ধরে ফ্যাসিজম টিকিয়ে রাখতে সক্ষম হয়েছিল। এর বিনিময়ে সাংবাদিকদের ওই অংশটি বিপুল বিত্ত-বৈভবের মালিক হয়েছেন।
তিনি বলেন, তরুণদের আত্মত্যাগ ও রক্তের বিনিময়ে পাওয়া গণতান্ত্রিক পরিবেশ বিঘ্নিত করতে হাসিনার সুবিধাভোগী সাংবাদিকদেরও ওই অংশটি এখনো পরিকল্পিতভাবে অপতথ্য প্রচার করছে।
অধ্যাপক নার্গিস বেগম বলেন, শেখ মুজিব গণতন্ত্র হরণ করে দেশে যে বিভীষিকাময় পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছিলেন, তা আড়াল করতেই তাবেদার চারটি পত্রিকা চালু রেখে বাকি সব পত্রিকা বন্ধ করে দিয়েছিলেন। দেশের সেই বিভিষীকাময় পরিস্থিতি থেকে দেশকে টেনে তুলে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বাক, ব্যক্তি ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠা করেন বলে মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি বলেন, এদেশে শেখ মুজিব, শেখ হাসিনা তথা আওয়ামী লীগের হাতেই বারবার গণতন্ত্র ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ভুলুণ্ঠিত হয়েছে। শহীদ জিয়া, বেগম জিয়া তথা বিএনপি বারবার দেশবাসীকে গণতন্ত্র ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ফিরিয়ে দিয়েছে।
দেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনে সাংবাদিকদের অসামান্য ভূমিকার কথা স্মরণ করে অধ্যাপক নার্গিস বেগম বলেন, কিছু সাংবাদিককে বিপথগামী করে সাংবাদিকদের মাঝে বিভাজন সৃষ্টি করেছিলেন হাসিনা।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল