ভিসা থাকা সত্ত্বেও মালয়েশিয়ায় ঢুকতে দেওয়া হয়নি ২০৩ বাংলাদেশিকে। কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (কেএলআইএ) থেকে তাদের ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
গত শুক্রবার দেশটির গণমাধ্যম মালয় মেইলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সম্প্রতি ১২৩ বাংলাদেশিসহ মোট ১৯৮ জন বিদেশি নাগরিকের প্রবেশ প্রত্যাখ্যান করে ফেরত পাঠানো হয়েছে। অভিবাসন শর্ত পূরণে ব্যর্থ হওয়ায় তাদের মালয়েশিয়ায় প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রবেশ প্রত্যাখ্যান হওয়া মোট ১৯৮ জন বিদেশি নাগরিকের মধ্যে ১২৮ জনকে টার্মিনাল ১ থেকে আটক করা হয়। এদের মধ্যে ১২৩ জন বাংলাদেশি, দুজন পাকিস্তানি, দুজন ইন্দোনেশিয়ান এবং একজন সিরীয় নাগরিক। অন্যদিকে টার্মিনাল ২ থেকে আটক করা হয়েছে বাকি ৭০ জনকে। এর মধ্যে ৫১ জন ইন্দোনেশিয়ান, ১৩ জন ভারতীয়, চারজন পাকিস্তানি এবং দুজন ভিয়েতনামের নাগরিক।
পরে আরও জানানো হয়, দুই দিনে মোট ২০৩ জন বাংলাদেশিকে মালয়েশিয়ার বিমানবন্দর থেকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। বর্ডার কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রটেকশন এজেন্সি (একেপিএস) জানায়, অভিবাসন শর্ত পূরণে ব্যর্থ হওয়ায় তাদের মালয়েশিয়ায় প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। তাছাড়া পর্যাপ্ত তহবিল না থাকা, আবাসনের বুকিং না থাকা এবং ভ্রমণের উদ্দেশ্য অস্পষ্ট থাকাকে এর প্রধান কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।একেপিএসের মহাপরিচালক দাতুক সেরি মোহাম্মদ শুহেইলি মোহাম্মদ জাইন জানান, যাদের প্রবেশ প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে, তাদের নট টু ল্যান্ড (এনটিএল) পদ্ধতির অধীনে নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট এয়ারলাইনসগুলোই তাদের নিজ দেশে ফিরিয়ে নেওয়ার কাজ করবে। তিনি আরও জানান, বেশ কয়েকজন আটককৃতের ফোনে একেপিএস কর্মকর্তাদের ছবি পাওয়া গেছে, যা সিন্ডিকেটে জড়িত থাকার ইঙ্গিত দিচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, এই ছবিগুলো আইন প্রয়োগকারী সংস্থার নজর এড়াতে সহায়তা করার জন্য ব্যবহৃত হচ্ছিল। মালয়েশিয়াকে যেন অবৈধ প্রবেশের ট্রানজিট হাব হিসেবে ব্যবহার করা না হয়, তা নিশ্চিত করতে অভিযান অব্যাহত থাকবে।