চলতি মাসেই চীনে আম রপ্তানি শুরু করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। আগামী ২৮ মে আমের প্রথম চালান যাবে দেশটিতে। প্রথম ধাপে ৫০ টন আম পাঠানো হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে এর পরিমাণ বাড়ানো হবে। গতকাল রাজধানীর বেইলি রোডে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান এ তথ্য জানান। এ সময় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. মো. মাহমুদুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
কৃষি সচিব বলেন, সারা বিশ্বে আমের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। বাংলাদেশের আম অত্যন্ত সুস্বাদু। প্রতি বছর এ দেশে প্রায় ২৭ লাখ টন আম উৎপাদন হয়। রপ্তানি হয় মাত্র এক থেকে তিন হাজার টন। চীনে আম রপ্তানির মধ্যে দিয়ে কৃষি রপ্তানিতে এক নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন হয়েছে। আমের পাশাপাশি কাঁঠাল ও অন্যান্য ফল রপ্তানির জন্যও সরকার কাজ করছে। এমদাদ উল্লাহ মিয়ান বলেন, প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশনায় দেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হারকে বিবেচনায় নিয়ে নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ২৫ বছর মেয়াদি কৌশলগত পরিকল্পনা গ্রহণ করা হচ্ছে। পরিকল্পনায় মানুষের পাশাপাশি পশু-পাখির জন্য কতটুকু খাবারের প্রয়োজন সেটাও অন্তর্ভুক্ত করা হবে। অ্যাগ্রো প্রসেসিংয়ের মাধ্যমে আমাদের মৌসুমি ফলগুলোকে কীভাবে ভ্যালুঅ্যাডেট পণ্যে রূপান্তর করে সারা বছর বিক্রি করা যায় সেটা নিয়েও চিন্তা চলছে।
গত বছর আগস্টে আকস্মিক বন্যায় দেশের ২৩টি জেলায় ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল। বিশেষ প্রণোদনা ও তদারকির মাধ্যমে সে সংকট কাটিয়ে উঠতে কৃষকদের সহযোগিতা করা হয়েছে। চলতি বছরে ধান ও অন্যান্য ফসলের উৎপাদন সন্তোষজনক।