খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) এখনো একাডেমিক কার্যক্রম চালু হয়নি। ৪ মে একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সাত কার্যদিবসেও ক্লাসে যাননি শিক্ষকরা।
এদিকে সহিংসতা ও শিক্ষকদের লাঞ্ছিতের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের কারণ দর্শাও নোটিস দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে শৃঙ্খলা কমিটি। সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শৃঙ্খলা কমিটি এ ব্যবস্থা নিয়েছে। অন্যদিকে দ্রুত একাডেমিক কার্যক্রম চালুর দাবিতে গতকাল মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা। স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার সেন্টারের সামনে মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা দ্রুত একাডেমিক কার্যক্রম ও ক্লাস-পরীক্ষা চালু করার দাবি জানান। শিক্ষার্থীরা বলেন, প্রায় তিন মাস ধরে সব একাডেমিক কার্যক্রম অচল হয়ে আছে। আমরা সব স্থবিরতার বিপক্ষে। আমরা চাই একাডেমিক কার্যক্রম দ্রুত চালু হোক, ক্লাস-পরীক্ষা চালু হোক এবং আমরা দ্রুত পাস করে বের হয়ে যেতে চাই। যারা ছাত্রদের ওপর জুলুম করেছে ন্যক্কারজনক সেই ঘটনায় জড়িতদের বিচার চাই। একই সঙ্গে আমরা শিক্ষক লাঞ্ছনারও বিচার চাই।
শিক্ষক নেতৃবৃন্দ বলছেন, বহিরাগত সন্ত্রাসী কর্তৃক সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর নৃশংস হামলা ও কিছুসংখ্যক শিক্ষার্থী কর্তৃক শিক্ষকদের লাঞ্ছিত করার ঘটনায় জড়িতদের শাস্তি নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত ক্লাস-পরীক্ষা গ্রহণ থেকে তারা বিরত থাকবেন। কুয়েট শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. সাহিদুল ইসলাম জানান, শিক্ষকরা লাঞ্ছনা, সাইবার বুলিং, সামাজিক অবমাননা ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। ঘটনায় জড়িতদের শাস্তি নিশ্চিত করে শিক্ষার অনুকূল পরিবেশ তৈরি করতে হবে। উল্লেখ্য, ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েটে সংঘর্ষের পর থেকে ক্লাস-পরীক্ষাসহ সব একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।