ভারতের তেলেঙ্গানা রাজ্যের মন্ত্রিসভার সদস্য হিসেবে সম্প্রতি শপথ নেওয়া কংগ্রেস নেতা ও সাবেক ভারতীয় ক্রিকেট অধিনায়ক মুহাম্মদ আজহারউদ্দিনকে দুটি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এ দুটি মন্ত্রণালয় হলো ‘সংখ্যালঘু কল্যাণ’ এবং ‘পাবলিক এন্টারপ্রাইজেস’ দপ্তর। মঙ্গলবার রাজ্যটির প্রধান সচিব কে. রামকৃষ্ণ রাও এক সরকারি আদেশ জারি করে এ কথা জানিয়েছে। রাজ্যপালের স্বাক্ষরিত এক আদেশে জানানো হয়েছে, ৪ নভেম্বর থেকেই আজহারউদ্দিনের হাতে যাচ্ছে ‘সংখ্যালঘু কল্যাণ’ এবং ‘পাবলিক এন্টারপ্রাইজেস’ দপ্তর। সরকারি নির্দেশিকা অনুসারে, এতদিন রাজ্যের ‘সংখ্যালঘু কল্যাণ’ মন্ত্রণালয়টি দেখভাল করতেন মন্ত্রী আদলুরি লক্ষ্মণ কুমার। অন্যদিকে ‘পাবলিক এন্টারপ্রাইজেস’ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব ছিল মুখ্যমন্ত্রী এ. রেভান্ত রেড্ডির হাতে। নতুন দপ্তর বণ্টনের ফলে এ দুটি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের সম্পূর্ণ দায়িত্ব এখন আজহারউদ্দিনের হাতে চলে গেল। প্রায় এক দশক আগে ২০১৪ সালে তেলেঙ্গানা রাজ্য গঠন হওয়ার পর থেকে কোনো মুসলিম মন্ত্রীকে ‘সংখ্যালঘু কল্যাণ’ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। আজাহারউদ্দিনের অন্তর্ভুক্তির ফলে তেলেঙ্গানা মন্ত্রিসভার সদস্য সংখ্যা হলো ১৬ জন। এ সরকারে সর্বোচ্চ ১৮ জন মন্ত্রী থাকতে পারবেন।
রাজনৈতিক মহলের অভিমত, রাজ্যের সংখ্যালঘু ভোটকে টার্গেট করতেই এই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে একজন মুসলিম প্রতিনিধিকে। জানা গেছে, খুব শিগগিরই দুই মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন আজহারউদ্দিন। অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে তিনি কাজের রূপরেখা তৈরি করবেন। নতুন দপ্তরের দায়িত্ব গ্রহণের পর আজহারউদ্দিনও জানিয়েছেন যে, তিনি ‘মানুষের প্রত্যাশা পূরণে সর্বোচ্চ নিষ্ঠা নিয়ে কাজ করবেন।’ গত শুক্রবার তেলেঙ্গানা রাজ্য সরকারে মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন এই কংগ্রেস নেতা। রাজভবনে তাকে শপথ বাক্য পাঠ করান রাজ্যপাল জিষ্ণু দেব ভার্মা। যদিও সে সময় তার মন্ত্রণালয় বণ্টন করা হয়নি। তবে গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেলেও তা টিকিয়ে রাখতে আগামী ছয় মাসের মধ্যে অর্থাৎ ২০২৬ সালের ৩০ এপ্রিলের মধ্যে তাকে বিধানসভার নির্বাচনে জিতে আসতে হবে, না হলে মন্ত্রিত্ব হারাতে হতে পারে সাবেক ভারতীয় ক্রিকেটারকে।