থাইল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রা বুধবার পদত্যাগ করেছেন দেশটির অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল ফিউ থাই পার্টি-এর নেতৃত্ব থেকে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রার কন্যা পেতংতার্নের এই সিদ্ধান্ত দেশটির রাজনীতিতে সিনাওয়াত্রা পরিবারের দীর্ঘদিনের প্রভাবের অবসানের ইঙ্গিত হতে পারে বলে বিশ্লেষকদের মত। খবর এএফপির
মাত্র এক বছরেরও কম সময়ের জন্য প্রধানমন্ত্রী থাকা অবস্থায় আগস্টে আদালতের আদেশে পদচ্যুত হন ৩৯ বছর বয়সী পেতংতার্ন। কম্বোডিয়ার সঙ্গে সীমান্ত নিয়ে বিরোধ নিষ্পত্তির সময় নীতিগত লঙ্ঘনের অভিযোগে তাকে বরখাস্ত করা হয়।
দলের পক্ষ থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে জানানো হয়, পেতংতার্নের পদত্যাগ দলের জন্য একটি ‘সম্পূর্ণ সংস্কারের’ সুযোগ এনে দিয়েছে। সেখানে তার বক্তব্য উদ্ধৃত করে বলা হয়, ‘আমার পদত্যাগ দলটিকে আরও উন্নত ও শক্তিশালী করার সুযোগ দেবে, যাতে আমরা ভবিষ্যতের নির্বাচনে জয়ী হতে পারি।’
তবে তিনি জানিয়েছেন, দল থেকে পুরোপুরি সরে যাচ্ছেন না। ‘আমি এখনও দলের একজন সদস্য এবং থাইল্যান্ডের জন্য কঠোর পরিশ্রম চালিয়ে যাব,’ বলেন পেতংতার্ন।
দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে সিনাওয়াত্রা পরিবার থাইল্যান্ডের রাজনীতি, বিশেষ করে ফিউ থাই পার্টির কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে। তবে এই পরিবার বারবার সামরিক ও রাজতান্ত্রিক অভিজাতদের বিরোধিতার মুখে পড়েছে। থাকসিন সিনাওয়াত্রা নিজেও বর্তমানে দুর্নীতির অভিযোগে কারাদণ্ড ভোগ করছেন।
রাজনীতি বিশ্লেষকরা বলছেন, পেতংতার্নের পদত্যাগ পরিবারতন্ত্রের অবসানের এক সম্ভাব্য সূচক হলেও, সিনাওয়াত্রা পরিবারের ছায়া থেকে ফিউ থাই পুরোপুরি বের হতে পারবে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ থেকেই যাচ্ছে।
সুখোথাই থাম্মাথিরাত ওপেন ইউনিভার্সিটির রাজনৈতিক বিশ্লেষক ইউত্তাপর্ন ইসারাচাই এএফপিকে বলেন, ‘কে দলীয় নেতৃত্বে আছেন, সেটা বড় বিষয় নয়। ফিউ থাই দীর্ঘদিন ধরেই সিনাওয়াত্রা পরিবারের পরোক্ষ প্রভাবেই পরিচালিত হয়ে এসেছে এবং সম্ভবত তা চলতেও থাকবে।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘আদালতের বরখাস্তের পর দলকে আইনি জটিলতা থেকে রক্ষার কৌশল হিসেবেই পেতংতার্নের এই পদত্যাগ দেখা যেতে পারে।’
বিডি-প্রতিদিন/জামশেদ