বিশ্বব্যাপী ক্যাথলিকদের আধ্যাত্মিক নেতা এবং ভ্যাটিকানের প্রধান পোপ লিও গাজা প্রসঙ্গে কাজ করা সাংবাদিকদের নিয়ে ইতিবাচক বার্তা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “গাজা নিয়ে সত্য প্রকাশের জন্য জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করা সাংবাদিকদের কাছে আমরা ঋণী।”
বৃহস্পতিবার এসব কথা বলেন তিনি।
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, পোপ লিও বলেন- আজ যদি আমরা জানতে পারি গাজা, ইউক্রেন এবং বোমায় রক্তাক্ত প্রতিটি ভূমিতে কী ঘটছে, তাহলে এসব তথ্য পাওয়ার জন্য মূলত আমরা তাদের (সাংবাদিক) কাছে ঋণী।
আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা এমআইএনডিএসের প্রতিনিধিদলের ৩৯তম সম্মেলনে তার বক্তৃতায় লিও বলেন, “যোগাযোগ অপরিহার্য হলেও, কে যোগাযোগ করছে এবং কী উদ্দেশ্যে তা বিবেচনা করাও সমান গুরুত্বপূর্ণ।”
তিনি বিশেষভাবে বলেন, “বিবেক গঠন এবং সমালোচনামূলক চিন্তাভাবনা বিকাশে মিডিয়া গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আমাদের তাদের ভুলে যাওয়া উচিত নয়!”
সত্য প্রকাশের ক্ষেত্রে নাগরিক ও সাংবাদিকদের অংশীদারিত্বের ওপর আলোকপাত করে লিও বলেন, “সক্রিয় নাগরিকত্বের একটি রূপ হলো- যারা তাদের কাজে গুরুত্ব এবং প্রকৃত স্বাধীনতা প্রদর্শন করে তাদের পেশাদার কাজ এবং সেসব পেশাদার সংস্থাগুলোকে মূল্য দেওয়া ও সমর্থন করা। এটি সমাজের জন্য উপকৃত।”
প্রায়শই মৃত্যুর মুখোমুখি হয়ে কর্তব্য পালনের জন্য সাংবাদিকদের যে কঠোর পরিশ্রম করতে হয় সে বিষয়েও কথা বলেন তিনি।
এর আগে গত মে মাসে নির্বাচনের পরপরই বিশ্বজুড়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক সভায় পোপ লিও অন্যায়ভাবে নির্যাতিত এবং কারারুদ্ধ সাংবাদিকদের মুক্তির আহ্বান জানিয়েছিলেন। বৃহস্পতিবারের বক্তব্যেও সেই বিষয়টি তুলে ধরেন তিনি।
সংবাদ সংস্থাগুলোর কাজকে ‘অমূল্য’ বলে অভিহিত করে লিও তাদের উচ্চ-চাপযুক্ত কর্মপরিবেশ তুলে ধরে বলেন, “আপনি জানেন, যারা একটি সংবাদ সংস্থার জন্য কাজ করেন তাদের কাছ থেকে দ্রুত, চাপের মধ্যে, এমনকি খুব জটিল ও নাটকীয় পরিস্থিতিতেও লেখার আশা করা হয়। এই কারণে, আপনার পরিষেবার জন্য যোগ্যতা, সাহস এবং নীতিবোধের প্রয়োজন। আর এটি অমূল্য।”
তথ্য ও সাংবাদিকতার স্বাধীনতার বিষয়ে তিনি বলেন, “তথ্যের অবাধ প্রবেশাধিকার এমন একটি স্তম্ভ যা আমাদের সমাজের ভিত্তিকে সমুন্নত রাখে। একজন সাংবাদিকের কাজ করা কখনওই অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে না, বরং এটি সুরক্ষিত থাকা দরকার।” সূত্র: ভ্যাটিকান নিউজ, রয়টার্স, মিডল ইস্ট মনিটর
বিডি প্রতিদিন/একেএ