ভারতের উপচে পড়া বাঁধ ও স্রোতস্বিনী নদী থেকে পানি ছাড়ার কারণে পাকিস্তানের নিচু সীমান্ত এলাকাগুলোতে হঠাৎ বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এতে করে পাকিস্তানের কর্তৃপক্ষ লাখো মানুষকে সরিয়ে নেওয়ার অভিযান শুরু করেছে।
পানি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে নয়াদিল্লি ইসলামাবাদকে 'সম্ভাব্য সীমান্তবর্তী বন্যা' সম্পর্কে সতর্ক করে। এটি গেল মে মাসে চারদিনের সামরিক উত্তেজনার পর দুই দেশের মধ্যে প্রথম প্রকাশ্য কূটনৈতিক যোগাযোগ। খবর আল-জাজিরার।
গত জুনের শেষ দিক থেকে দক্ষিণ এশিয়ায় ভারী বর্ষণ অব্যাহত রয়েছে। এর ফলে পাকিস্তানে বন্যায় এখন পর্যন্ত অন্তত ৮০০ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। সর্বশেষ এই বন্যা সতর্কতা ও সরিয়ে নেওয়ার কার্যক্রমও সেই আবহাওয়ার ধারাবাহিক ফল।
পাকিস্তানের জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (এনডিএমএ) জানিয়েছে, পাঞ্জাব প্রদেশের কর্মকর্তাদের শতদ্রু নদীর পানি বৃদ্ধি ও বন্যার ঝুঁকি সম্পর্কে আগাম সতর্কতা দেওয়া হয়েছে। সেই অনুযায়ী প্রদেশের পূর্বাঞ্চলের ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলগুলো থেকে মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।
এনডিএমএ এক বিবৃতিতে জানায়, পাঞ্জাবের কাসুর থেকে প্রায় ১৪ হাজার এবং ভারতের সীমান্তঘেঁষা বাহাওয়ালনগর শহর থেকে অন্তত ৮৯ হাজার মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ জানিয়েছে, ভারতের বেশ কয়েকটি রাজ্যে ভারি বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে, যার ফলে সীমান্ত পেরিয়ে পাকিস্তানে প্রবাহিত নদী ও ঝর্ণাধারাগুলোর পানির প্রবাহ আরও বেড়ে যেতে পারে।
উল্লেখ্য, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ১৯৬০ সালের সিন্ধু পানি চুক্তির আওতায় পানি বিষয়ক তথ্য আদান-প্রদানের জন্য সিন্ধু পানি কমিশন গঠিত হয়। তবে চলতি বছরের এপ্রিলে কাশ্মীরের পহেলগামে একটি হামলার ঘটনায় পাকিস্তানের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ তুলে নয়াদিল্লি এই চুক্তি স্থগিতের ঘোষণা দেয়। সেই কারণে এবার কূটনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমেই পাকিস্তানকে বন্যা সতর্কতা জানায় ভারত।
বিডি-প্রতিদিন/শআ