বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল প্রতি বছর লর্ডসে হওয়া নিয়ে আপত্তি তুলেছিলেন রোহিত শর্মা এবং প্যাট কামিন্স। গত বার ফাইনালে ওঠা দুই দলের অধিনায়কের বক্তব্য ছিল, প্রতি বার একটি নির্দিষ্ট মাঠে ফাইনাল আয়োজন ঠিক নয়। কিন্তু তাদের মতামতকে খুব একটা গুরুত্ব দিচ্ছে না আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থা (আইসিসি)।
ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) একাধিক বার বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল আয়োজনের আগ্রহ প্রকাশ করেছে। তবু আগামী তিনটি ফাইনালও হতে পারে ইংল্যান্ডে।
কামিন্স গত বার ফাইনালের পর বলেছিলেন, ‘এ বার যারা চ্যাম্পিয়ন হবে, পরের ফাইনাল সেই দেশে আয়োজন করা যেতে পারে। বা অন্য কিছুও ভাবা যেতে পারে। বিকল্প বা পরিবর্তন দরকার। যদিও লর্ডস খুবই ভাল জায়গা।’
রোহিত বলেছিলেন, ‘আইপিএলের পর কেন প্রতি বার বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল হবে? এই ম্যাচটা মার্চেও করা যেতে পারে। আমরা কেন শুধু জুন মাসেই ফাইনাল খেলব? ম্যাচটা বছরের যে কোনো সময়, বিশ্বের যে কোনো মাঠে হতে পারে। শুধু ইংল্যান্ডে কেন খেলা হবে। অন্য দেশেও হোক।’
বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল বার বার ইংল্যান্ডে হওয়া নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে ক্রিকেটারদের মধ্যেই। এই সুযোগ কাজে লাগাতে চায় বিসিসিআই। আইসিসির কাছে টেস্ট বিশ্বকাপ ফাইনাল আয়োজনের দাবি জানাতে চলেছেন বিসিসিআই কর্তারা।
প্রথম দু’বছর বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল খেলেছে ভারত। এ বার যোগ্যতা অর্জন করতে পারেননি রোহিত শর্মারা। প্রথম তিন বছরই ফাইনাল ম্যাচ আয়োজন করেছে ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড। প্রথম বার সাদাম্পটন, পরের বার ওভালে ফাইনাল হয়েছিল। এ বার হচ্ছে লর্ডসে। পরের তিনটি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল আয়োজনের দায়িত্ব পেতে চায় বিসিসিআই। ভারত দাবি জানালে, আইসিসি কর্মকর্তারা তা বিবেচনা করবেন বলে জানা গেছে। তবে এই ম্যাচ আয়োজনের জন্য বিসিসিআইকে অপেক্ষা করতে হতে পারে আট বছর। কারণ আইসিসি সূত্রে খবর, ২০৩১ সাল পর্যন্ত ফাইনাল আয়োজনের দায়িত্ব ইংল্যান্ডের হাতেই থাকতে পারে।
আগামী তিন বার কারা ফাইনাল আয়োজন করবে তা ঠিক হবে জুলাইয়ে সিঙ্গাপুরে আইসিসির বার্ষিক সভায়। ইংল্যান্ডের ক্রিকেট কর্মকর্তারা আগেই তাদের আগ্রহের কথা জানিয়ে রেখেছেন আইসিসিকে। বিসিসিআইও দাবি জানাবে। লড়াইয়ে থাকবে দু’দেশের ক্রিকেট বোর্ড। তবু দায়িত্ব পাওয়ার দৌড়ে এগিয়ে ইংল্যান্ড।
কেন পরের তিনটি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল ইংল্যান্ডেই হতে পারে? একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল হয় জুন মাসের মাঝামাঝি। এই সময়ে ভারতের অধিকাংশ জায়গাতেই বর্ষা শুরু হয়ে যায়। ফলে নির্বিঘ্নে ম্যাচ শেষ করা নিয়ে সংশয় থাকছেই। অন্যদিকে, ইংল্যান্ডের আবহাওয়া এই সময় থাকে বেশ মনোরম। খেলায় বিঘ্ন ঘটার সম্ভাবনা কম। তাই আইসিসি কর্তাদের প্রথম পছন্দ ইংল্যান্ডই। তা ছাড়া আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সূচি পরিবর্তনের পরিকল্পনা নেই আইসিসির।
সূত্র : ইন্ডিয়া টুডে।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত