ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বরতা চলছেই। গাজায় হত্যাযজ্ঞ চালানোর মধ্যেই একইদিনে আরও তিনটি দেশে হামলা চালিয়েছে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী। বিশেষ করে ইসরায়েলের অন্যতম প্রধান বিমানবন্দরে হুতির হামলার জেরে পাল্টা আক্রমণের হুঁশিয়ারির পরই ইয়েমেনে হামলা করেছে ইসরায়েল।
মঙ্গলবার সংবাদ মাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে ফিলিস্তিনের গাজা ও ইয়েমেন ছাড়াও সিরিয়া ও লেবাননেও সোমবার হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। কমপক্ষে ৫৪ জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে এসব হামলায়।
এদিকে, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর মন্ত্রিসভা গাজায় আক্রমণাত্মক অভিযান ধীরে ধীরে সম্প্রসারণের অনুমোদন দিয়েছে। ইসরায়েলি পাবলিক ব্রডকাস্টার কান সোমবার এ কথা জানিয়েছে। ইসরায়েলি সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল ইয়াল জামির রবিবার এক বিবৃতিতে বলেছেন, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ইতোমধ্যেই ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের বিরুদ্ধে গাজা অভিযান সম্প্রসারণের লক্ষ্যে রিজার্ভ বাহিনীর কয়েক হাজার সেনাকে ডেকেছে।
ইয়েমেন থেকে ছোড়া হুথির একটি ক্ষেপণাস্ত্রের অংশ ইসরায়েলের প্রধান প্রবেশদ্বার বেন গুরিয়ন বিমানবন্দরের কাছে পড়ার কয়েক ঘন্টা পরে, নেতানিয়াহু বলেছেন যে তিনি গাজায় যুদ্ধের পরবর্তী পর্যায়ে আলোচনা করার জন্য নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা আহ্বান করছেন। ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর বিবৃতি অনুসারে, আমরা আমাদের জনগণকে (জিম্মিদের) ফিরিয়ে দেওয়ার এবং হামাসকে পরাজিত করার লক্ষ্যে চাপ বৃদ্ধি করছি। মার্কিন-সমর্থিত যুদ্ধবিরতি ভেঙে যাওয়ার পর মার্চ মাসে গাজায় স্থল অভিযান পুনরায় শুরু করে ইসরায়েল। সোমবার ইসরায়েলের ওয়াইনেট নিউজ ওয়েবসাইট জানিয়েছে, নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা গাজায় সাহায্য বিতরণের জন্য একটি নতুন পরিকল্পনাও অনুমোদন করেছে। যদিও স্পষ্ট নয় কখন গাজায় সে সহযোগিতা সরবরাহ করা হবে।
বিডি প্রতিদিন/এএম