সিরিয়ার ফার্স্টলেডি লতিফা আল-দ্রুবি প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক অঙ্গনে উপস্থিত হয়ে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছেন। তিনি ১১ থেকে ১৩ এপ্রিল তুরস্কের আনতালিয়ায় অনুষ্ঠিত ‘আনতালিয়া ডিপ্লোমেসি ফোরাম’-এ অংশ নেন, যেখানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক ও রাজনৈতিক নেতারা একত্রিত হন।
এই ফোরামে লতিফা আল-দ্রুবি তুরস্কের ফার্স্টলেডি এমিনে এরদোগানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাতের পর এমিনে এরদোগান সামাজিক মাধ্যমে জানান, “আমরা একসঙ্গে সিরিয়ার নারী ও শিশুদের জীবনমান উন্নয়নে কিছু প্রকল্প নিয়ে আলোচনা করেছি। আশা করি এই উদ্যোগগুলো শান্তি ও স্থিতিশীলতা বয়ে আনবে।”
আন্তর্জাতিক মঞ্চে এটি ছিল লতিফার প্রথম অংশগ্রহণ এবং এটি তার স্বামী আহমাদ আল-শারার অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর তার প্রথম প্রকাশ্য উপস্থিতি। তার এই উপস্থিতি আরব মিডিয়ায় বিশেষভাবে আলোচিত হয়েছে।
লতিফা পূর্বে সবসময়ই কালো আরব ঐতিহ্যবাহী পোশাকে দেখা যেত। তবে এই সম্মেলনে তিনি আধুনিক ও তুলনামূলকভাবে মুক্ত পোশাকে উপস্থিত হন, যা তাকে আরও আত্মবিশ্বাসী ও প্রগতিশীল হিসেবে উপস্থাপন করে।
১৯৮৪ সালে সিরিয়ার হোমসে জন্মগ্রহণকারী লতিফা আরবি ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন এবং তিন ছেলের মা। তার স্বামী আহমাদ আল-শারা, যিনি পূর্বে আবু মোহাম্মদ আল-জুলানি নামে পরিচিত ছিলেন, বর্তমানে নতুন এক রাজনৈতিক পরিচয় ও ভাবমূর্তি গড়ে তুলতে সচেষ্ট। স্ত্রীর আন্তর্জাতিক উপস্থিতি সেই প্রচেষ্টারই একটি কৌশল, যার মাধ্যমে সিরিয়াকে আরও মধ্যপন্থী ও আধুনিক রাষ্ট্র হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা চলছে।
বিডি প্রতিদিন/নাজিম