সুদানে নতুন করে যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত ৪ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ পালিয়ে গেছেন। মঙ্গলবার জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থার একজন মুখপাত্র এই তথ্য জানিয়েছেন।
সংস্থাটির মুখপাত্র ইউজিন বিয়ুন জেনেভায় এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে জানান, এই বিপুল সংখ্যক মানুষের বাস্তুচ্যুতি আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক স্থিতিশীলতাকে ঝুঁকির মুখে ফেলছে।
২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে সুদানে শুরু হওয়া সংঘাতের কারণে মানবিক সংকট চরম আকার ধারণ করেছে। সেনাবাহিনী এবং আধাসামরিক র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (RSF)-এর মধ্যে ক্ষমতার লড়াই দেশটিকে গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিয়েছে। এর ফলে খাদ্য সংকট, স্বাস্থ্যসেবার অভাব এবং মৌলিক পরিষেবাগুলির মারাত্মক অবনতি ঘটেছে, যা সাধারণ মানুষকে দেশ ছাড়তে বাধ্য করছে।
জাতিসংঘের মতে, বাস্তুচ্যুত মানুষের মধ্যে অনেকেই প্রতিবেশী দেশগুলিতে আশ্রয় নিয়েছেন। যার মধ্যে চাদ, দক্ষিণ সুদান, মিশর, ইথিওপিয়া এবং মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র উল্লেখযোগ্য। এই দেশগুলো এমনিতেই সীমিত সম্পদ নিয়ে পরিচালিত হয়, ফলে সুদানের শরণার্থীদের আগমন তাদের ওপর আরও চাপ সৃষ্টি করছে। ইউএনএইচসিআর এবং অন্যান্য সাহায্য সংস্থাগুলো বাস্তুচ্যুতদের জন্য জরুরি সহায়তা প্রদানের চেষ্টা করছে, তবে প্রয়োজনের তুলনায় এটি অপ্রতুল।
ইউজিন বিয়ুন বলেন, এই বিশাল আকারের বাস্তুচ্যুতি শুধু মানবিক সংকটই নয়, এটি এই অঞ্চলের এবং বিশ্বজুড়ে স্থিতিশীলতার জন্য একটি গুরুতর হুমকি। তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি সুদানের সংঘাত নিরসনে এবং বাস্তুচ্যুতদের সহায়তার জন্য আরও বেশি সমর্থন ও পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না এলে এবং শান্তি ফিরে না এলে এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সূত্র: আল আরাবিয়া
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল