ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধবিরতি আলোচনা নিয়ে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ওপর ‘খুবই রাগান্বিত’ ও ‘ক্ষুব্ধ’ হয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি নিজেই এই কথা জানিয়েছেন।
তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে চলছে রাশিয়া ও ইউক্রেনের যুদ্ধ। দ্বিতীয় মেয়াদে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই দীর্ঘ এই সংঘাত বন্ধে জোর তৎপর ট্রাম্প। তবে এখনও পুতিনের পক্ষ থেকে মেলেনি আশানুরূপ কোনও সাড়া।
এমতাবস্থায় ট্রাম্প বলেছেন, ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনার জন্য কয়েক সপ্তাহ ধরে চেষ্টা করার পর তিনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ওপর “খুবই রাগান্বিত” এবং “বিরক্ত”।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, তিনি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে আক্রমণ করার জন্য পুতিনের ওপর ক্ষুব্ধ। আর তাই যুদ্ধবিরতিতে রাজি না হলে রাশিয়ার তেল কেনা দেশগুলোর ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকিও দিয়েছেন ট্রাম্প।
তিনি বলেন, “যদি রাশিয়া এবং আমি ইউক্রেনে রক্তপাত বন্ধ করার জন্য একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে না পারি, এবং যদি আমি মনে করি এটি রাশিয়ার দোষ— যা হয়তো তা নাও হতে পারে ... তাহলে আমি রাশিয়া থেকে আসা সমস্ত তেলের ওপর সেকেন্ডারি শুল্ক আরোপ করতে যাচ্ছি ...”।
এই মন্তব্যগুলো পুতিন এবং রাশিয়ার প্রতি ট্রাম্পের সুরের পরিবর্তনের বিষয়ে ইঙ্গিত দিচ্ছে। হোয়াইট হাউস তাৎক্ষণিকভাবে এই বিষয়ে মন্তব্যের অনুরোধের জবাব দেয়নি। এছাড়া ইউরোপীয় নেতারা উদ্বিগ্ন ছিলেন যে— ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা চলতে থাকা অবস্থায় ট্রাম্প হয়তোবা পুতিনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছেন।
গত ছয় সপ্তাহের মধ্যে ট্রাম্প ওভাল অফিসে জেলেনস্কিকে কটূক্তি করেছেন এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের কাছ থেকে অসংখ্য ছাড় দাবি করেছেন। পরিবর্তে, তিনি পুতিনকে তোষামোদ করেছেন এবং মূলত রাশিয়ান প্রেসিডেন্টের দাবির কাছে নতি স্বীকারও করেছেন।
তবে সর্বশেষ এই মন্তব্যের মাধ্যমে ট্রাম্প সেই ধরনের চিন্তা-চেতনার বাইরে চলে যাচ্ছেন বলে মনে হচ্ছে। এই প্রথমবারের মতো যুদ্ধবিরতি আলোচনায় পা না রাখার জন্য যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়াকে গুরুতরভাবে হুমকি দিয়েছে, যা কূটনৈতিক বলটি মস্কোর কোর্টে ফিরিয়ে আনবে বলে মনে হচ্ছে। সূত্র: রয়টার্স, বিবিসি, দ্য গার্ডিয়ান, আল-জাজিরা
বিডি প্রতিদিন/একেএ