৫ আগস্ট ‘নতুন বাংলাদেশ দিবস’ ঘোষণা করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। গতকাল সমাজমাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড পেজে দেওয়া পোস্টে তিনি এ মন্তব্য করেন।
শফিকুর রহমান পোস্টে বলেন, ‘৮ নয় ৫ আগস্টকেই নতুন বাংলাদেশ দিবস ঘোষণা করা উচিত।’ এর আগে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের দিন ৫ আগস্টকে ‘জুলাই গণ অভ্যুত্থান দিবস’ ঘোষণা করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। আর আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের দিনটিকে ‘নতুন বাংলাদেশ দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর আগে বৃহস্পতিবার জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতা হাসনাত আবদুল্লাহ, সারজিস আলমসহ অনেকে বিষয়টি নিয়ে আপত্তি তোলেন। তাঁরা ৫ আগস্ট ‘নতুন বাংলাদেশ দিবস’ হিসেবে চান।
‘জুনেলের শাস্তি না হলে আরও খুনি জন্মাবে’ : মৌলভীবাজার প্রতিনিধি জানান, জেলার কুলাউড়ায় নির্মমভাবে নিহত স্কুলছাত্রী নাফিজা জান্নাত আনজুমের পরিবারের প্রতি গভীর শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। গতকাল দুপুরে সংক্ষিপ্ত সফরে তিনি উপজেলার ব্রাহ্মণবাজার ইউনিয়নের শেরপুর গ্রামে নিহত ছাত্রীর বাড়িতে যান। সেখানে স্বজনদের সান্ত্বনা দেন এবং পাশে থাকার আশ্বাস দেন। সেখান থেকে বেরিয়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি ওসিকে স্পষ্ট করে বলেছি আপনার কলম যেন ন্যায়ের পক্ষে চলে। এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা যদি কারও প্রভাবে নয়ছয় করতে চান, তবে শুধু আল্লাহর কাছেই নয়, এ দুনিয়াতেও জবাবদিহি করতে হবে। আমরা কিন্তু ছাড় দেব না।’ ১২ জুন স্কুলছাত্রী আনজুমকে নৃশংসভাবে হত্যা করে জুনেল মিয়া। বর্তমানে তিনি কারাগারে রয়েছেন। তার দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবিতে স্থানীয়রা বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছেন।
জামায়াত আমির আরও বলেন, ‘এই খুনি জুনেল আত্মস্বীকৃত। আনজুমকে হত্যার পর তার স্বীকারোক্তি, জুলুমের বিবরণ ও সাক্ষ্যপ্রমাণ সবই স্পষ্ট। তার পরও যদি বিচার না হয়, তাহলে এ এলাকায় আরও শয়তান জন্মাবে, এটা মেনে নেওয়া যায় না।’ ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘আমি এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলব। বিচার বিভাগ যেন স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে, সেটাই আমরা চাই। কিন্তু যদি দেখি স্বাধীন বিচারককে কোনোভাবে প্রভাবিত করার চেষ্টা চলছে, তাহলে জনগণের পক্ষ থেকে আমি প্রতিরোধ গড়ে তুলব।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, জেলা আমির ইঞ্জিনিয়ার মো. শাহেদ আলী, নায়েবে আমির মাওলানা আবদুর রহমান, জেলা সেক্রেটারি মো. ইয়ামীর আলী, গাংগুল মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা ইউসুফ আলী, সাবেক উপজেলা আমির আবদুল হামিদ খান, উপজেলা শুরা সদস্য রাজানুর রহিম ইফতেখার, সেক্রেটারি বেলাল আহমদ চৌধুরী, সহকারী সেক্রেটারি সাইফুল ইসলাম খান ও আলাউদ্দিন, জেলা কর্মপরিষদ সদস্য আজিজ আহমদ কিবরিয়া, ছাত্রশিবিরের জেলা সভাপতি নিজাম উদ্দিন, কুলাউড়া উপজেলা সভাপতি আতিকুর রহমান তারেক প্রমুখ।