আগামী জাতীয় নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা নিয়ে ‘অস্থির’ না হওয়ার পরামর্শ দিয়ে এ ব্যাপারে সবাইকে ‘সহনশীল’ হতে ও ‘ধৈর্য’ ধারণ করতে বলেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, রমজানের আগে জাতীয় নির্বাচন নিয়ে সব দলের মধ্যে ঐকমত্য আছে। কোথাও দ্বিমত আছে বলে আমরা মনে করি না। আর দিনক্ষণ নির্বাচন কমিশন (ইসি) ডিক্লেয়ার করবে। তা সরকার বলতে পারবে না, আমরাও বলতে পারব না। গতকাল রাজধানীর গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূত পাওলো ফার্নান্দো ডায়াস ফেরেসের সঙ্গে বিএনপির প্রতিনিধিদলের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
জাতীয় নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আমীর খসরু বলেন, নির্বাচনের ব্যাপারে (রমজানের আগে) একটা জাতীয় ঐকমত্য আছে। এটা সবারই মতামত, এ জায়গায় কোথাও দ্বিমত আছে বলে মনে করি না। বিভিন্ন কারণে এ জায়গাটায় আমরা এসেছি এবং জাতীয় ঐকমত্য পোষণ করছি। তিনি বলেন, লন্ডনে (ইউনূস-তারেক) বৈঠকের পর জাতি অত্যন্ত আনন্দিত এবং সবার মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে। নির্বাচনের তারিখ নির্বাচন কমিশন (ইসি) থেকে আসবে এবং আমরা সেটার জন্য অপেক্ষা করব। নিশ্চয়ই কোনো একটা সময়ে আগামী দিনে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে একটা দিনক্ষণ ঘোষণা করা হবে। তো এটার জন্য আমাদেরও তো একটু ধৈর্য ধরতে হবে, তাই না? একদম অস্থিরতার মধ্যে সারাক্ষণ থাকলে তো হবে না। একটু তো ধৈর্য ধরতে হবে। একটু সহনশীল হতে হবে। বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনের শপথ পড়ানো নিয়ে বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরামের এ সদস্য বলেন, আইনগতভাবে কোর্টের রায় হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকেও আসছে। সুতরাং সবাই অপেক্ষায় আছে। আমরা দেখি সরকার কী সিদ্ধান্ত দেয়। একটু অপেক্ষা করি, একটু ধৈর্য ধরি। নিশ্চিতভাবে সরকার আইনের শাসনে বিশ্বাস করে। আমরা সবাই বিশ্বাস করি। সুতরাং আমরা একটু ধৈর্য ধরি। উল্লেখ্য, বৈঠকে বিএনপির প্রতিনিধিদলে আমীর খসরু মাহমুদ ছাড়াও আরও ছিলেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, সাংগঠনিক সম্পাদক ও চেয়ারপারসনের পররাষ্ট্রনীতি-বিষয়ক বিশেষ সহযোগী উপদেষ্টা কমিটির সদস্য শামা ওবায়েদ।