খুলনা, যশোর, বরিশাল ও ফরিদপুরসহ দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলায় বিদ্যুতের ব্ল্যাক আউট হয়েছে। গতকাল সন্ধ্যায় এ ব্ল্যাক আউটের ঘটনা ঘটে। এসব জেলার দায়িত্বে থাকা ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ওজোপাডিকো) ও বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) দায়িত্বশীল সূত্র বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বিষয়টি নিশ্চিত করে। আরপিসিএল-নরিনকো ইন্টারন্যাশনাল পাওয়ার লিমিটেডের বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি অতিরিক্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন করায় এই কেন্দ্রটির সঙ্গে জাতীয় গ্রিড সংযুক্ত থাকায় অতিরিক্ত বিদ্যুৎ সরবরাহে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি বন্ধ হয়ে যায়। এর প্রভাবে ওই জেলাগুলোতে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যায়। বিদ্যুৎ সরবরাহ বিঘ্নিত হওয়া অন্য জেলাগুলো হলো- বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, নড়াইল, ঝিনাইদহ, মাগুরা, কুষ্টিয়া, মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা, রাজবাড়ী, মাদারীপুর, শরীয়তপুর, গোপালগঞ্জ, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, পটুয়াখালী, বরগুনা ও ভোলা।
বিদ্যুৎ বিভাগের পরিচালক (জনসংযোগ) মো. শামীম হাসান বলেন, লোড পুনরুদ্ধারের জন্য চেষ্টা চালানো হচ্ছে। রাত পৌনে ৮টা পর্যন্ত পাওয়া খবরে অনেক এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ চালু হয়। শিগগির সব এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হবে। ওজোপাডিকোর নির্বাহী পরিচালক (পরিচালন) মো. আবদুল মজিদ বলেন, এসব এলাকায় ধীরে ধীরে বিদ্যুতের লাইন চালু হচ্ছে। পাওয়ার গ্রিড বাংলাদেশ পিএলসির নির্বাহী পরিচালক আবদুল মোনায়েম চৌধুরী জানান, তারা লাইন মেরামতে কাজ করছেন। যশোর প্রতিনিধির তথ্যে, গতকাল বিকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত যশোর-খুলনা অঞ্চলে বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা যায়। সন্ধ্যার পর থেকে আবার বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হতে থাকে। ওজোপাডিকোর পরিচালন ও সংরক্ষণ যশোর সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী অমূল্য কুমার সরকার জানান, বিকাল সাড়ে ৫টা থেকে যশোর, খুলনা ও সাতক্ষীরা অঞ্চল ও পটুয়াখালীতে হঠাৎ করেই বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। তবে ঠিক কী কারণে এই বিভ্রাট তা তিনি জানাতে পারেননি। তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী বলেন, সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকেই ত্রুটি মেরামত শুরু হয় এবং এবং বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হতে শুরু করে। বরিশাল প্রতিনিধির তথ্যে, জাতীয় গ্রিড বিপর্যয়ে বরিশাল নগরীসহ জেলার ১০ উপজেলা সন্ধ্যা থেকে অন্ধকারে। জাতীয় গ্রিড বিপর্যয়ের কারণে শনিবার সন্ধ্যা ৬টার দিক থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়। পাওয়ার গ্রিড অব বাংলাদেশের বরিশালের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আক্তারুজ্জামান পলাশ বলেন, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে পাওয়ার গ্রিড থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। এ কারণে ৫টা ৫০ মিনিট থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত বরিশালসহ ২১ জেলায় বিদ্যুৎ বন্ধ হয়ে যায়। সাড়ে ৭টার পর বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হওয়া শুরু হয়।