শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড- এ শব্দবন্ধ অবিতর্কিতভাবে শিরোধার্য। কিন্তু এই মেরুদণ্ড শক্তপোক্ত করে গঠনের যারা কারিগর, তাঁরা চিরকালই অবহেলিত ও অবমূল্যায়িত। শিক্ষার মানোন্নয়ন চাওয়া হচ্ছে শিক্ষক সমাজের জীবনমান উন্নয়ন নিশ্চিতকরণের ক্ষেত্রে অনেক অসম্পূর্ণতা রেখেই। আকাশপাতাল ব্যবধান সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীর সুযোগসুবিধায়। বেসরকারিদের বঞ্চনার শেষ নেই। অন্যদিকে ব্যক্তি বা গোষ্ঠীমালিকানাধীন, তথাকথিত পাবলিক প্রতিষ্ঠানগুলোর রমরমা শিক্ষাবাণিজ্যেও শিক্ষক-কর্মীরা ন্যায্য সম্মান-সম্মানী পাচ্ছেন না। এসব নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই দাবিদাওয়া পেশ হচ্ছে, দেনদরবার, অবস্থান-আন্দোলন চলছে। সুরাহা হচ্ছে না। জুলাই বিপ্লবের পর নতুন বাংলাদেশে শিক্ষকরা আশা করেছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের সর্বব্যাপী সংস্কার কর্মযজ্ঞে শিক্ষা-প্রশাসন ও ব্যবস্থাপনার অন্ধকার দিকগুলোতেও আলোর রেখা পৌঁছবে। বঞ্চনা, বৈষম্য, অবমূল্যায়নের দেয়াল ভাঙা হবে ইনসাফের বুলডোজারে। কিন্তু তা হয়নি বলেই বিপুলসংখ্যক শিক্ষক এখনো রাজপথে। মূল বেতনের ২০ শতাংশ বাড়িভাড়াসহ তিন দফা আদায়ে আন্দোলন কর্মসূচিতে রয়েছেন এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা। আন্দোলনের পাশাপাশি সরকারের সঙ্গে তাঁদের দরকষাকষি চলছে। এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণের প্রত্যাশা রয়েছে শিক্ষকদের। তাঁদের অভিযোগ, সরকার বিভিন্ন সময় দেওয়া প্রতিশ্রুতি পূরণ করেনি। সে কারণেই পাঠকক্ষ ছেড়ে পথে নামতে বাধ্য হয়েছেন। এই পরিপ্রেক্ষিতে অসন্তোষ ও আন্দোলনে শিক্ষা খাত বিপর্যস্ত। দৃশ্যত শিক্ষক সমাজের প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। অথচ শিক্ষকদের ওপর এর মধ্যেই বহুবার শক্তিপ্রয়োগ করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, যা শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সরকারের ভাবমূর্তির সঙ্গে মানানসই নয়। শিক্ষা উপদেষ্টা অবশ্য সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, সরকার শিক্ষকদের দাবিদাওয়া নিয়ে কাজ করছে। শিগগিরই বেতন স্কেলের আভাসও দিয়েছেন তিনি। দ্রুত এসব চেষ্টা-আশা সফল ও সত্যি হয়ে উঠুক। কল্যাণকর সিদ্ধান্তে শিক্ষকরা হাসিমুখে ক্লাসে ফিরুন। বিপর্যস্ত শিক্ষা খাতে শৃঙ্খলা ও সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরুক। আন্দোলনকারী শিক্ষকদের অভিনন্দন এবং সরকারকে সাধুবাদ জানানোর অপেক্ষায় রইলাম।
শিরোনাম
- ভোমরা স্থলবন্দরকে ‘কাস্টমস হাউজ’ ঘোষণা
- ভারতে তিন বাংলাদেশিকে পিটিয়ে হত্যায় ঢাকার তীব্র নিন্দা
- জুলাই সনদের ৫ নম্বর দফা সংশোধনের প্রস্তাব সালাহউদ্দিন আহমদের
- ভেনেজুয়েলায় অভিযান চালাতে সিআইএ’কে অনুমোদন দিলেন ট্রাম্প
- বসুন্ধরা পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজে সহপাঠ কার্যক্রম ‘ট্যালেন্টস ডেন’-এর উদ্বোধন
- রাকুসতে ছাত্রদলের প্যানেলে থেকে একমাত্র বিজয়ী ফুটবলার নার্গিস
- জিএসপি প্লাস সুবিধা পেতে নেদারল্যান্ডসের সহায়তা চেয়েছে বাংলাদেশ
- হামাসকে কড়া হুঁশিয়ারি দিলেন ট্রাম্প
- প্রায় ১৭ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে সিইপিজেডের আগুন, ধসে গেছে ভবনের ছাদ
- সংসদ ভবন এলাকায় সব ধরনের ড্রোন ওড়ানো নিষেধ
- ট্রাম্প-পুতিনের দীর্ঘ ফোনালাপ, হাঙ্গেরিতে বৈঠকের ঘোষণা
- কেনিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রীর লাশ দেখতে গিয়ে নিরাপত্তাবাহিনীর গুলিতে নিহত ৪
- স্থায়ী যুদ্ধবিরতির বল ‘আফগান তালেবানের কোর্টে’: পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী
- যুক্তরাজ্যে অভিবাসনে ভাষাগত দক্ষতার নতুন নিয়ম
- নির্বাচনের প্রস্তুতি : ছুটির দিনেও ইসি কর্মকর্তাদের অফিস করার নির্দেশ
- জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা এনসিপির
- নেত্রকোনায় প্রধান শিক্ষকের রহস্যজনক মৃত্যু, স্ত্রী গ্রেফতার
- টাঙ্গাইলে পিকআপ ভ্যান-মাহিন্দ্রা সংঘর্ষে নিহত ২
- ধর্ম অবমাননা কাঠামোগত ইসলামবিদ্বেষের ফল
- ভালো নির্বাচনের পথে যত বাধা
রাজপথে শিক্ষকরা
বঞ্চনা দূর ও ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠা হোক
প্রিন্ট ভার্সন

এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর

লাখো মানুষের হাতে মশাল, ‘জাগো বাহে, তিস্তা বাঁচাই’ স্লোগানে উত্তাল উত্তরাঞ্চল
১২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শতাব্দীর সেরা ডিভোর্সে ১ বিলিয়ন ডলার থেকে মুক্তি পেলেন দ. কোরিয়ার ধনকুবের
১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম