বুকের ভেতর একটা নির্জন গ্রাম নিয়ে
শহরমুখী পায়ে বাসা বাঁধে একই কল্পিত প্রজনন,
যে মেয়েটি আমায় চুমু খেত দু’বেলা নিয়ম করে
ওর ঠোঁটের গন্ধ লেগে আছে ফেলে আসা শৈশবজুড়ে।
ফেলে আসা কী সত্যিই যায়,
ফেলে আসা যায় কী স্পর্শ, সময়, চাঁদ-রাত-জোনাকি,
মাঝরাতের স্টেশন, ক্রোশ-ক্রোশ পথ
বা ঘুম ভাঙানো রেলক্রসিং?
সম্ভবত যাপিত জীবনের সব অনুসঙ্গ,
প্রতিটি ফুল-পাখি-পাতা,
চা-সহ কাপ, মাশরুম হওয়ার স্বপ্ন,
বিকেলবেলার ডেট আমি সাথে নিয়ে হাঁটছি।
শুধু হাঁটছি না, হাঁটছি, দৌড়াচ্ছি, হামাগুড়ি দিচ্ছি।
এইসব স্বতঃস্ফূর্ত সংগ্রহের ভারে মাঝেমাঝে
নতজানু হই, স্থির হই, আবার চলতে শুরু করি।
ঈশ্বর এই হাঁটাচলা থামিয়ে দিতে পারে।
কিন্তু দেয় না, কোনো ঐশী উদ্দেশ্যে