এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান বলেছেন, আমরা চাইলেও সব সময় সবকিছু করতে পারি না। নিত্য-প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম যেন না বাড়ে এজন্য বিভিন্নভাবে কর ছাড় দেওয়া হচ্ছে। আবার কর আদায় না হলে সরকার চলবে কি করে এজন্য বাজেটের সাইজ বাড়লেই জনগণের ওপর কোন না কোনভাবে করের চাপ বাড়ে। এখান থেকে বের হওয়াও কঠিন। এজন্য ব্যবসায়ীবান্ধব পরিবেশ তৈরিতে কাজ করছে এনবিআর।
চলতি অর্থ-বছরের গতকাল পর্যন্ত কর আদায় হয়েছে ৩ লাখ ৫৩ হাজার কোটি টাকা। অর্থ-বছরের আর বাকি আছে মাত্র দুইদিন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর পল্টনে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) কার্যালয়ে ইয়ুথ পলিসি নেটওয়ার্ক আয়োজিত ‘প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর খাদ্য নিরাপত্তা ও ভ্যাট’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, আন্দোলনে রাজস্ব আদায়ে কিছুটা হলেও হ্যাম্পার হচ্ছে। আমরা সবাই দেশের জন্য কাজ করবো, দেশের স্বার্থ রক্ষা করবো। যে কোন সংস্কার করি, যে কোন আইন করি; তা দেশের স্বার্থে করতে হবে। যে কোন আন্দোলন-সংগ্রাম রাষ্ট্রের স্বার্থে হওয়া উচিত। যে কোন সংস্কার রাষ্ট্রের স্বার্থের হওয়া উচিত। কোনো কিছুই নিজের জন্যে না করে, দেশের স্বার্থে করতে হবে।
এনবিআর চেয়ারম্যান আরও বলেন, আমাদের ট্যারিফ কমাতে হবে। এবার বাজেট প্রায় ৮ লাখ কোটি টাকার। এর ফলে ৩ লাখ কোটি টাকা ঋণ যোগ হবে। দেনা আরও বাড়লো। পরবর্তী প্রজন্মকে এই ঋণ পরিশোধ করতে হবে।
তিনি বলেন, আমাদের ট্যাক্স-জিডিপি অনুপাত কম। আমরা অটোমেশন করছি। গরীব মানুষের উপর চাপ বাড়ায় বিস্কুটে ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে সাড়ে ৭ শতাংশ করা হয়েছে। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসে ছাড় দিয়েছি। বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বাজেটের আকার কমেছে। যাতে মানুষের উপর চাপ না পড়ে। বাজেটের সাইজ যতোটা ছোট করেছে, ধরে নিতে হবে রাষ্ট্র ততোটা সঞ্চয় করেছে, ততোটা ঋণের চাপ থেকে কমেছে।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত