বুধবার সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে কুয়াকাটার নীল জলে গঙ্গাস্নানে অংশ নেবেন হাজারো সনাতন ধর্মাবলম্বী নারী ও পুরুষ। এ উপলক্ষে সাধু, সন্ন্যাসী ও রাসভক্তদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে সৈকত।
এ বছর রাস উৎসব নির্বিঘ্নে উদযাপনের জন্য জেলা ও উপজেলা প্রশাসন কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে। দর্শনার্থীদের জন্য সুপেয় পানি, চিকিৎসক দল, নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ এবং অস্থায়ী ল্যাট্রিনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
জানা গেছে, প্রায় ১০০ বছর ধরে এ উৎসব পালন করে আসছেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। এ বছরও জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনে হবে এ উৎসব। মঙ্গলবার রাত ৯টা ২২ মিনিটে অধিবাসের মধ্যে দিয়ে শুরু হবে এর আনুষ্ঠানিকতা। রাতভর ধর্মীয় নানা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ শেষে বুধবার পূর্নিমা তিথিতে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে কুয়াকাটার নীল জলে গঙ্গা স্নান করবেন পুণ্যার্থীরা। পর সেবাশ্রমে ১৭ জোড়া রাধাকৃষ্ণের যুগল প্রতিমা দর্শন করবে।
এ উৎসব উপলক্ষে কলাপাড়ার মদন মোহন মন্দির প্রাঙ্গণ, কুয়াকাটার মন্দির প্রাঙ্গণ ও সৈকতে অস্থায়ীভাবে বসছে শতাধিক পোশাক, প্রসাধনী, খেলনা ও গৃহস্থালী সামগ্রীর দোকান। পাঁচ দিনব্যাপী এসব দোকানে অন্তত ৩০ লাখ টাকার পণ্য বিক্রির আশা করছেন ব্যবসায়িরা।
কলাপাড়ার শ্রী শ্রী মদনমোহন সেবাশ্রমের রাস উদযাপন কমিটির সভাপতি দিলীপ কুমার হাওলাদার বলেন, ‘সনাতন ধর্মালম্বীদের এ উৎসব হলেও এখানে ৫ দিনব্যাপী মেলায় সব ধর্মের মানুষের আগমন ঘটে। মন্দির প্রাঙ্গণে মেলা উপলক্ষে শতাধিক দোকান বসেছে। আশা করছি, শান্তিপূর্ণভাবে রাস উৎসব সম্পন্ন হবে।’
কুয়াকাটার রাধা-কৃষ্ণ মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক নীহার রঞ্জন মন্ডল বলেছেন, ‘রাতভর মন্দির প্রাঙ্গণে ধর্মীয় অনুষ্ঠান চলবে। সকালে গঙ্গা স্নান হবে। লাখো পুণ্যার্থীর আগমনের আশা করছি।’
কলাপাড়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাউসার হামিদ বলেন, ‘রাস উৎসব উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। আশা করছি, শান্তিপূর্ণভাবে এ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হবে।’