ভাঙ্গায় আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র নির্মাতা তারেক মাসুদের মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে। বুধবার (১৩ আগষ্ট) সকাল সাড়ে নয়টার দিকে ভাঙ্গা পৌরসভার নুরপুর মহল্লায় তারেক মাসুদের গ্রামের বাড়িতে তার সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন তারেক মাসুদ ফাউন্ডেশন। এ সময় তারেক মাসুদের মা নুরনাহার মাসুদ উপস্থিত ছিলেন।
অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ভাঙ্গা উপজেলা কৃষক সমিতির সভাপতি আবু বকর, ভাঙ্গা উপজেলা কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য সুবাস মন্ডল, তারেক মাসুদের ভাই তৈয়বুর রহমান মাসুদ ও সাঈদ মাসুদ, তারেক মাসুদ ফাউন্ডেশনের সদস্য এম এম শাফিনুর হাসান, সোহাগ হোসেন, প্রভাষ মালো প্রমুখ।
পুষ্পস্তবক শেষে তারেক মাসুদের সমাধির পাশে দাঁড়িয়ে তাঁর অশীতিপর বৃদ্ধা মা নুরুন্নাহার মাসুদ (৮৫) অশ্রুসজল নয়নে ক্ষোভের সাথে বলেন, আমি আর কিছু চাইবো না। কী চাইবো! এখানে আজও জাদুঘর নির্মিতো হলো না। এখানে জাদুঘর নির্মিত হলে তারেকের সৃষ্টিগুলো, স্মৃতিগুলো সাজিয়ে রাখতে পারতাম। আমার মৃত্যুর পরে এখানে জাদুঘর নির্মিত হলে আমার ইচ্ছা অপূর্ণ থেকে যাবে।
তিনি আবেগতাড়িত হয়ে বলেন, তারেক এখনো মারা যায়নি। ও এখনো আমার সাথে কথা বলে।
তারেক মাসুদ ফাউন্ডেশনের সদস্য শাফিনুর হাসান বলেন, তারেক মাসুদ আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র নির্মাতা। তিনিই প্রথম বাংলা চলচ্চিত্রকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছেন। আমাদের ভাঙ্গার সন্তান তিনি। মৃত্যুর ১৪ বছর পরেও তাঁর নামে জাদুঘর নির্মিত হয়নি। অবিলম্বে তারেক মাসুদ জাদুঘর নির্মাণের দাবি জানাই।
তারেক মাসুদের ছোট ভাই সাঈদ মাসুদ বলেন, ১৪ বছর আগে তারেক ভাইকে হারিয়েছি। বাংলা চলচ্চিত্রে তারেক ভাইয়ের যে অবদান, সেইভাবে তাঁর জন্য কিছু করা হয়নি।
কৃষক সমিতির ভাঙ্গা উপজেলা শাখার সভাপতি আবু বকর বলেন, অবিলম্বে আমরা তারেক মাসুদ জাদুঘর নির্মাণ ও ভাঙ্গা পৌরসভার একটি সড়কের নামকরণের দাবি জানাই।
ভাঙ্গা উপজেলা কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য সুবাস মন্ডল বলেন, তারেক মাসুদ খ্যাতিমান চলচ্চিত্র নির্মাতা। তাঁর জন্মভূমিতে জাদুঘর নির্মাণ ও একটি সড়কের নামকরণের দাবি জানাই।
তারেখ মাসুদ ১৯৫৬ সালের ৬ ডিসেম্বর ভাঙ্গা উপজেলার নুরপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ২০১১ সালের ১৩ ডিসেম্বর মানিকগঞ্জে এক সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল