বান্দরবানের লামায় ভারী বর্ষণে পাহাড় ধসের আশঙ্কায় ৬০টি পর্যটন রিসোর্ট বন্ধ ঘোষণা করেছে উপজেলা প্রশাসন। এছাড়া, উপজেলা সদরের মিরিঞ্জা রেঞ্জ ও শুখিয়া দুখিয়া ভ্যালিতে অবস্থিত পর্যটনকেন্দ্রগুলো বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
রবিবার দুপুরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত এক জরুরি বৈঠক শেষে এ নির্দেশনা জারি করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মইন উদ্দিন।
তিনি জানান, পাহাড়ে ভারী বর্ষণ হচ্ছে। পাহাড় ধসের আশঙ্কাও আছে। এ বর্ষণ আরও কয়েকদিন অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। লামার বেশিরভাগ কটেজগুলো পাহাড়ের ওপরে। তাই পাহাড় ধসে যাতে কোনো পর্যটকের প্রাণহানি না ঘটে তাই রিসোর্টগুলো বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, ভারী বর্ষণ থামলে এবং পাহাড় ধসের আশঙ্কা কেটে গেলে রিসোর্টগুলো আবারও খুলে দেওয়া হবে।
বান্দরবান আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সনাতন কুমার মণ্ডল জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় (রবিবার বিকেল ৩টা পর্যন্ত) বান্দরবানে ৮৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
এদিকে, ভারী বর্ষণে বান্দরবানের সাঙ্গু, মাতামুহুরী ও বাকখালী নদীর পানি বেড়ে বিপদসীমার ৭ থেকে ১০ ফুট নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী এলাকায় বাকখালী নদীর পানি প্রবেশ করায় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
বান্দরবান জেলা প্রশাসক শামীম আরা রিনি জানান, দুর্যোগ মোকাবিলায় জেলার সাতটি উপজেলায় ২২০টি অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। প্রশাসনের পাশাপাশি ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ, স্বাস্থ্য বিভাগ, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও এনজিওদের সমন্বয়ে ‘দুর্যোগকালীন জরুরি সেবা কমিটি’ গঠন করা হয়েছে। পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসকারীদের নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে সরে যাওয়ার জন্য মাইকিং করে সতর্ক করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/কেএ