নারায়ণগঞ্জের বন্দরে বিপুল পরিমাণ চোরাচালানকৃত ভারতীয় শাড়ি ও থ্রি-পিসসহ মো. মিকাইল হোসেন ওরফে রয়েল (৩১) নামে এক চোরা কারবারিকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১। রবিবার বিকেলে র্যাব-১১’র অপস অফিসার মো. গোলাম মোর্শেদ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে শনিবার রাতে উপজেলার মদনপুরে অবস্থিত রাফি ফিলিং স্টেশনের ঢাকা-চট্টগাম মহাসড়েক চেকপোষ্ট স্থাপন করে ভারতীয় শাড়ি ও থ্রী-পিস উদ্ধার করা হয়। অভিযানে কাভার্ডভ্যান তল্লাশি করে ৩ হাজার ৬১৩ পিস ভারতীয় শাড়ি ও ৩৫৪ পিস ভারতীয় থ্রি-পিসসহ উক্ত কাভার্ড ভ্যানটি জব্দ করা হয়।
র্যাব জানায়, গ্রেপ্তারকৃত মিকাইল হোসেন স্বীকার করে যে, জব্দকৃত ভারতীয় শাড়ি ও থ্রী-পিসগুলো পার্শ¦বর্তী দেশ ভারত থেকে চোরাচালানের মাধ্যমে শুল্ক কর ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে কুমিল্লার বর্ডার এলাকা দিয়ে বাংলাদেশে এনে বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে পরিবহন করছে। তার কাছে জব্দকৃত ভারতীয় শাড়ি ও থ্রী-পিসের বৈধ কোন ডকুমেন্টস নেই। সে আরো স্বীকার করে যে, জব্দকৃত কাভার্ডভ্যানের মালিক আরিফ মজুমদার। গত ৭-৮ মাস পূর্বে সে ড্রাইভার হিসেবে আরিফ মজুমদারের প্রতিষ্ঠানে মাসিক ২০ হাজার টাকা বেতনে চাকুরিতে যোগদান করে। শনিবার বিকেলে আরিফ মজুমদার তার লোকবল দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা থানাধীন কাঠেরপুল ভারতীয় সীমান্ত এলাকা থেকে জব্দকৃত ভারতীয় শাড়ি ও থ্রী-পিসগুলো গাড়িতে লোড করে দেয়। পরে অজ্ঞাতনামা একটি প্রাইভেটকারের মাধ্যমে পাহারা দিয়ে ঢাকার উদ্দেশে রওয়ানা হয়। সে আরো স্বীকার করে যে, কাভার্ডভ্যানের মালিক আরিফ ও ম্যানেজার খোরশেদসহ অজ্ঞাতনামা আরো ২-৩ জনের সহায়তায় দীর্ঘদিন ধরে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত থেকে চোরাচালানের মাধ্যমে শুল্ক-কর ফাঁকি দিয়ে ভারতীয় শাড়ি ও থ্রি-পিসসহ বিভিন্ন ধরণের পণ্য সামগ্রী অবৈধভাবে কুমিল্লা বর্ডার এলাকা দিয়ে বাংলাদেশে আনা হচ্ছে। এরই প্রেক্ষিতে আসামিকে মালামালসহ গ্রেপ্তার করে নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানায় একটি নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়।
বিডি প্রতিদিন/এএম