কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিপাত ও উজানে আসামের পাহাড়ি এলাকায় ভারি বর্ষণের কারণে নেমে আসা ঢলে কুশিয়ারা নদীর তিনটি স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। জকিগঞ্জ উপজেলার ওই তিন স্থান দিয়ে পানি প্রবেশ শুরু করে। সৃষ্ট বন্যার কারণে জকিগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ডুবতে শুরু করেছে।
নদীতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে কুশিয়ারার ডাইকে আরও ভাঙন দেখা দেওয়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। জানা যায়, রবিবার (১ জুন) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে জকিগঞ্জ সদর ইউনিয়নের রারাই গ্রামের পাশে কুশিয়ারা নদীর বাঁধ দিয়ে পানি প্রবেশ শুরু করে। আজ সোমবার ভোরে একই ইউনিয়নের বাখরশাল এবং সকাল ৮টার দিকে খলাছড়া ইউনিয়নের লোহারমহল গ্রামে বাঁধ ভেঙে পড়ে। এতে আশপাশের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়।
এছাড়াও কুশিয়ারার পানি ডাইকের ওপর দিয়ে কেছরী গ্রাম হয়ে জকিগঞ্জ পৌর শহরে ঢুকছে। মাইজকান্দি গ্রামের কাছে বাঁধের একাংশ ধসে গেছে। স্থানীয়দের ভাষ্যমতে- ছবড়িয়া, সেনাপতিরচক, ইছাপুর, পিল্লাকান্দি, আমলশীদসহ প্রায় অর্ধশতাধিক স্থানে বাঁধের ওপর দিয়ে পানি প্রবেশ করছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, রারাই গ্রামে প্রায় ১০০ ফুট, বাখরশাল গ্রামে ৪০-৫০ ফুট এবং লোহারমহল এলাকায় ৩০–৪০ ফুট অংশে বাঁধ সম্পূর্ণভাবে ভেঙে গেছে। নদীর পানিতে ইতোমধ্যেই তীরবর্তী এলাকার ঘরবাড়ি প্লাবিত হয়েছে এবং অনেকেই নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যাচ্ছেন। এ বিষয়ে জকিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, প্রশাসন সার্বক্ষণিক মনিটরিং করছে। দুর্গতদের নিরাপদ আশ্রয়ে নেওয়ার কাজ চলছে। আশ্রয়কেন্দ্র চালু করা হয়েছে।
তবে স্থানীয়রা অভিযোগ করছেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের কোনও কার্যকর উদ্যোগ ছিল না। বালুর বস্তার চাহিদা জানালেও সাড়া মেলেনি বলে জানান তারা। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ