দেশের বাজারে চাহিদা থাকায় ১১ মাস বন্ধের পর আবারও দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে চলতি মৌসুমে প্রথমবার ভারত থেকে কচুরমুখি আমদানি হয়েছে। তবে দেশের বাজারে চাহিদা ও দাম ভালো থাকলে পরবর্তীতে আমদানির পরিমান বাড়বে বলে জানায় সংশ্লিষ্টরা।
দেশীয় কচুরমুখি এখনো বাজারে উঠতে কিছুদিন দেরি থাকায় আমদানি হচ্ছে বলে ব্যবসায়ীরা বলছেন।
বুধবার সকাল ১১টার দিকে ভারত থেকে একটি মিনি পিকআপে আমদানিকৃত কচুরমুখি নিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। হাকিমপুরের রোশনি ট্রেডার্স নামের এক আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ভারতের মধ্যপ্রদেশ অঞ্চল থেকে এই কচুরমুখি আমদানি করেছে। সর্বশেষ স্থলবন্দর দিয়ে গত বছরের ১৩ মে কচুরমুখি আমদানি হয়েছিল।
খালাসের দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছে লিয়াকত আ্যন্ড কোং সিআ্যন্ডএফ এজেন্ট। ভারত থেকে প্রায় ১২ টন কচুরমুখি আমদানি হয়েছে। ইতোমধ্যে আমদানিকৃত কচুরমুখি ছাড়করনের জন্য বিল অব এন্ট্রি সাবমিট থেকে শুরু করে পরীক্ষণ শুল্কায়ন কার্যক্রম প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এরপর আরোপিত শুল্ক পরিশোধ স্বাপেক্ষে আউটপাশ সম্পূর্ণ করে বন্দর থেকে খালাস করে আমদানিকারককে বুঝিয়ে দেওয়া হবে। আমদানিকৃত কচুরমুখি রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হবে। এসব কচুরমুখি ৮৫ থেকে ৯০টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
হিলি স্থলবন্দর উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপসহকারী সংগনিরোধ কর্মকর্তা ইউসুফ আলী বলেন, চলতি মৌসুমে প্রথম হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে কচুরমুখি আমদানি করা হয়েছে। রোশনি ট্রেডার্স নামের আমদানিকারক এই কচুরমুখি আমদানি করেছেন। এরপরে সেই প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে আমাদের দফতরে আবেদন করেছে। আমদানিকৃত কচুরমুখি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সনদ প্রদান করা হবে। এরপর কাস্টমস তাদের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে কচুরমুখি ছাড়করন করবে।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল